সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক পরিবারের ৬ জনকে খুন করে ফেরার হয়ে গিয়েছিল সে। ১৯৯১ সাল থেকে তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। অবশেষে তিন দশক পেরিয়ে খোঁজ মিলল সেই খুনির। কোথায় ছিল রাম সেবক নামের ওই খুনি? আত্মগোপন করতে সে ধরেছিল বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর ভেক। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এই ঘটনায় স্তম্ভিত সকলে।
ঠিক কী হয়েছিল? নয়ের দশকের গোড়ায় আগ্রার লখনপুরে একই পরিবারের ৬ জনকে খুন করেছিল এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, প্রেমঘটিত কোনও ঘটনাতেই এই ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ঘটায় ওই ব্যক্তি-সহ তিনজন। নিম্ন আদালতে তাদের ফাঁসির সাজাও দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তারা জামিন পেয়ে যায়। এরপরই রাম সেবক ও কিশোরী লাল নামের দুই অভিযুক্ত পালায়। তারপর থেকে তাদের আর খোঁজ মেলেনি। অবশেষে যোগীরাজ্যের ফারুখাবাদের বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাম সেবককে।
[আরও পড়ুন: পুজোয় মোবাইল চোরদের বাড়বাড়ন্ত, সতর্ক থাকুন, পরামর্শ কলকাতা পুলিশের]
জেরার পরে পুলিশ জানতে পেরেছে পালানোর পরে দিল্লি চলে গিয়েছিল অভিযুক্ত রাম। সেখানে গিয়ে নিজের নাম, পরিচয় সব বদলে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সেজে বসে সে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। পুলিশের জালে ধরা দিল অভিযুক্ত খুনি। আগে থেকেই খবর ছিল, ওই বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে অভিযুক্ত। এরপরই সেখানে হানা দেয় পুলিশ। হাতে নাতে ধরা পড়ে রাম সেবক।
পুলিশ অফিসার অশোকা মীনা জানিয়েছেন, ”অভিযুক্ত ১৯৯১ সালের এক গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। কিন্তু সে পালিয়ে গিয়ে একটি বৌদ্ধ মঠে আশ্রয় নিয়েছিল নিজের নাম ও পরিচয় লুকিয়ে।” স্বাভাবিক ভাবেই এতদিন পরে ওই অপরাধীকে ধরতে পেরে তৃপ্ত পুলিশ। রাম সেবকের গ্রেপ্তারিকে বড় সাফল্য বলেই মনে করছে তারা।