সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেও কি শেষপর্যন্ত সব ভেস্তে যাবে? দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়ায় ক্ষুব্ধ উত্তর কোরিয়া কি খারিজ করে দেবে আগামী ১২ জুন ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে হতে চলা প্রস্তাবিত বৈঠক? ওয়াশিংটন, পিয়ংইয়ং ও সিওলের মধ্যে সম্পর্কের হঠাৎ বাঁকে এমন আশঙ্কার মেঘই বর্তমানে ঘুরপাক খাচ্ছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে।
[রাষ্ট্রসংঘে মায়ানমারের ঢাল চিন, প্রবল ক্ষুব্ধ আমেরিকা]
উত্তর কোরিয়ার অভিযোগ, যখন তিন দেশের মধ্যে সম্পর্ক ঠিকঠাক পথে এগোচ্ছিল, তখন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এয়ার কমব্যাট যৌথ সামরিক মহড়া করে আসলে উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিতে চাইছে আমেরিকা। ইতিমধ্যেই সিওলের সঙ্গে সব রকমের প্রশাসনিক কথাবার্তা বন্ধের ঘোষণা করেছে পিয়ংইয়ং। এরপরেই আন্তর্জাতিক মহল আশঙ্কা করছে এবার হয়ত ভেস্তে যেতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে নির্ধারিত বৈঠক। উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অভিযোগ আসার পরেই, হোয়াইট হাউস আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে করেছেন মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা। এরপরে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়া উভয়পক্ষই ঘোষণা করে, বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া জারি থাকবে। এমনকী ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে হতে চলা ১২ জুনের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া হয় হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে। এমন কোনও সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত নেই বলেই জানায় তারা।
[তথ্য ফাঁস রুখতে এবার ২০০টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করল ফেসবুক]
দীর্ঘ ৬৫ বছরের দ্বন্দ্ব ভুলে বন্ধুত্বের নব সূচনা করেছিল উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। গত ২৭ এপ্রিল দুই দেশের সীমান্তের ডিমিলিটারাইজড জোনের পিস হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মুন জে ইন। সেই বৈঠকেই কিম জং উনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি হওয়ার জন্য রাজি করিয়ে নিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন। দিন কয়েক আগেই ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, আগামী মাসের ১২ তারিখে সিঙ্গাপুরে হতে চলেছে ট্রাম্প ও কিমের সেই ঐতিহাসিক মিলনপর্ব। তবে আদৌ সেই মধুরমিলন পর্ব গোটা বিশ্ব দেখতে পারবে কি না, তা এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে।