সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রথযাত্রার পরদিনই ‘অঘটন’ পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরে। গুণ্ডিচায় ঢুকে প্রায় ২০টি উনুন ভাঙচুর করল দুষ্কৃতীরা। এই উনুনগুলিতেই আগামী ৮ দিন দেবতার ভোগ, প্রসাদ রান্না হওয়ার কথা ছিল। আর সেই উনুন নষ্ট হওয়াকে ‘অমঙ্গলজনক’ বলে মনে করছেন ভক্ত ও অনুগামীরা। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার, রথযাত্রার (Rath Yatra) দিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা রথে চেপে মাসির বাড়ি বেড়াতে যান। সেখানে এক সপ্তাহ কাটিয়ে উলটোরথের দিন ফের মন্দিরে ফেরেন। এই ক’দিন তাঁরা থাকেন গুণ্ডিচা (Gundicha) মন্দিরে। সেখানে ৮ দিন তাঁদের পূজার্চনা হয়। ভোগ রান্না থেকে শুরু করে পুজোর সমস্ত আচারই হয় গুণ্ডিচা মন্দিরের চারপাশে। এই ক’দিন ভোগ রান্নার জন্য কুড়িটি উনুন বা চুলা প্রস্তুত রাখা হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গুণ্ডিচায়। শনিবার সকালে দেখা যায়, সেসব উনুনই (Chulha) ভাঙচুর করা হয়েছে। তাতে রীতিমত অশনি সংকেত দেখছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: চলতি মাসেই শুরু অনলাইনে কলেজে ভরতির প্রক্রিয়া, দিনক্ষণ জানিয়ে দিল উচ্চ শিক্ষা দপ্তর]
মন্দিরের সেবাইতদের অনুমান, শুক্রবার গভীর রাতেই কেউ বা কারা গুণ্ডিচা মন্দিরে ঢুকে এই ‘অপকর্ম’ করেছে। এখন এই ক’দিন জগন্নাথদেবের ভোগ রান্না নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। গত এপ্রিল মাসেই পুরীর মন্দিরে এভাবে চুলা ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। ভাঙা হয় পঞ্চাশটিরও বেশি উনুন। এমনকী মন্দিরের গায়েও আঘাত করা হয়েছিল। সেই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশ অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে। এরপর রথের পরদিন ফের একই ঘটনা। কীভাবে গুণ্ডিচা মন্দিরে দুষ্কৃতী হামলা হল, তা নিয়ে চিন্তিত কর্তৃপক্ষ। এতে পুরীর মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।