সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ নয়, তবু কঠিন লড়াই বটেই। বিশেষ করে যখন অন্নদাতা কৃষকদের বিক্ষোভ রুখতে সর্বশক্তি লাগাচ্ছে সরকার। আন্দোলনকারী কৃষকেরা ‘দিল্লি চলো’র ডাক দেওয়ার পরেই রাজধানীর নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছিল। অন্য রাজ্য থেকে দিল্লিতে ঢোকার সমস্ত প্রবেশপথকে কার্যত দুর্গ বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কৃষকরাও প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। প্রতিবাদ দেখাতে ১,৫০০ ট্রাক্টর এবং ৫০০টি গাড়ি জড়ো করা হয়েছে। তাতেই রয়েছে ছয় মাসের খাদ্য, অন্যান্য রেশন ও রসদ। এবার পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, ড্রোনের বদলা ‘দেশি জুগাড়’ ঘুড়ি, ভেজা বস্তা, মুলতানি মাটি! কীভাবে কাজে আসছে এই ‘ঢাল’?
একদিকে যখন নতুন করে ৩ হাজারেরও বেশি টিয়ার গ্যাস শেল আনাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে লড়াই চালাতে মাটির মানুষ অন্নদাতারা দেশি বুদ্ধি খাটাচ্ছেন। গতকাল সারাদিন কৃষকদের বিরুদ্ধে পুলিশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল কাঁদানে গ্যাস। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে মুহূর্মুহূ কাঁদানে গ্যাসের শেল পাঠানো হয়েছিল। এমনকী আকাশপথে ড্রোনের মাধ্যামে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। ওই ড্রোন রুখতে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে কৃষকরা। ঘুড়ির সুতোয় বেঁধে ক্ষতি হচ্ছে ড্রোনগুলির। ঠিক মতো কাজ করছে না সেগুলি। অন্যদিকে কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া কমাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিজে বস্তা। শেলের উপর ভেজা বস্তা ফেলছেন কষকরা। এর ফলে কমে যাচ্ছে ধোঁয়া। কমছে অস্বস্তি। তাছাড়া কাঁদানে গ্যাসে মুখ জ্বলে যায়, সেই সমস্যা থেকে বাঁচতে এবং পরিচয় গোপন রাখতে মুখে মুলতানি মাটি মাখছেন কৃষকরা।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের চাইতেও বেশি! লোকসভা ভোটে বাংলার জন্য কত বাহিনী চাইল কমিশন?]
এদিকে গতকাল পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় কৃষকদের উপর টিয়ার গ্যাস হামলার প্রতিবাদে আজ দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি গোটা পাঞ্জাবে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় চণ্ডিগড়ে কৃষক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক বসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। ২০০ কৃষক সংগঠনের জানানো জানিয়েছে, বৈঠক চললেও যতক্ষণ না দাবি মানা হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।