বিক্রম রায়, কোচবিহার: বাংলাকে এড়িয়ে বাংলা ভাগের ছক! শীঘ্রই পূরণ হতে চলেছে কেএলও-র দীর্ঘদিনের দাবি! পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি নিয়ে আলোচনা একেবারে শেষ পর্যায়ে! কেন্দ্রের সঙ্গে মুখোমুখি দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশ নিতে শীঘ্রই দেশে ফিরছেন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। তিনি কোচ-কামতাপুরের বাসিন্দাদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলা থেকে আলাদা হয়ে পৃথক রাজ্য় কোচ-কামতাপুর গঠন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চলছিল কেএলওর। মধ্যস্থতা করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। দ্বিপাক্ষিক সেই আলোচনা একেবারে শেষপর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি জীবন সিংহের। মুখোমুখি সেই আলোচনায় যোগ দিতে শীঘ্রই ভারতে আসছেন তাঁরা। আপাতত মায়ানমারে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোচ-কামতাপুর পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলকারীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জীবন সিংহ।
[আরও পড়ুন: দলে ভাঙন রুখতে পালটা দল ভাঙার কৌশল! সুকান্তর মন্তব্যে ক্ষোভ পদ্ম শিবিরেই]
বাংলার শাসকদল বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী। তারা পৃথক রাজ্য গঠনের বিরোধিতা করেছে বরাবর। চিঠির বয়ান অনুযায়ী, বঙ্গের কিছু অংশ নিয়ে, পৃথক রাজ্য গঠন নিয়ে কেএলও-র মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছে কেন্দ্র সরকার। তাতে মধ্যস্থতা করেছেন এক বিজেপি নেতা তথা ভিনরাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই এর পিছনে গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: ফের নিউটাউনে দুর্ঘটনা, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা বাইকের, মৃত ২ মদ্যপ যুবক]
কখনও পৃথক উত্তরবঙ্গ, কখনও গোর্খাল্যান্ড, আবার কখনও আলাদা কামতাপুর রাজ্য – টুকরো টুকরো কয়েকটি রাজ্যের দাবি বারবার উত্তরবঙ্গের মাটিতে আঁচ বাড়াতে চেয়েছে। কিন্তু কোনওরকম বিচ্ছিন্নতার রেশ যাতে না পড়ে সেখানকার জনজীবনে, তার জন্য সদাসতর্ক রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয়রা বরাবর একতার বার্তা দিয়েছেন। কামতাপুরী আন্দোলনকারীরাও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। কিন্তু এর মাঝেই জীবন সিংহের দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল।