অভিরূপ দাস: বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ কলকাতা পুরসভার বাম সমর্থিত সংগঠনের সদস্যের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য কলকাতা পুরসভার ১২২ নং ওয়ার্ড এলাকায়। শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুরসভার ওই ইঞ্জিনিয়রকে ঘণ্টা দুয়েক ঘেরাও করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তিনি ছাড়া পান এবং ঘটনাস্থল থেকে অফিসে ফিরে আসেন। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই বাম সমর্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড অ্যালয়েড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মানস সিনহা জানিয়েছেন, ''এই অভিযোগ পেয়েছি। সত্যি-মিথ্যে যাচাই করে দেখতে হবে।'' যদিও বিকেলে ওই ইঞ্জিনিয়রের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার ১২২ নং ওয়ার্ড এলাকার একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র পদে কর্মরত শুভজিৎ নামে এক কর্মী। সেই বাড়ির মালকিনের অভিযোগ, পরিদর্শনের নামে তিনি শ্লীলতাহানি করেছেন। এই অভিযোগ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ইঞ্জিনিয়রকে ঘেরাও করে রাখেন ঘণ্টা দুয়েক ধরে। পরে অবশ্য পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার পান শুভজিৎ নামে ওই ইঞ্জিনিয়র। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি, এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জানা গিয়েছে, যাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে, তিনি কলকাতা পুরসভার বাম সমর্থিত ইউনিয়নের সদস্য। দলের সদস্যের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ পেয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড অ্যালয়েড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মানস সিনহা জানিয়েছেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখতে হবে। আর পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ডিজি উজ্জ্বল সরকারের প্রতিক্রিয়া, এ ধরনের কোনও কাজ কেউ করে থাকলে, কঠোর শাস্তি হবে। তবে ঘটনা ঠিক কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। বস্তুত, কাজে গিয়ে এভাবে পুরসভার কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে। সেই কারণে এদিন বিকেলেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।