স্টাফ রিপোর্টার: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের খরচের টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠালেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বরে হওয়া যাদবপুরের সমাবর্তনকে বেআইনি বলেও রাজ্যপালের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, ‘‘ব্যাপারটা শুনেছি। যা বলার রবিবার বলব।’’ সদ্য অপসারিত তৎকালীন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বর্তমানে আমি উপাচার্য নই। ফলে এ ধরনের চিঠির জবাব কেন আমি দিতে যাব?’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সমাবর্তন হওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে। আচার্যকেও জানানো হয়েছিল। সমাবর্তনের কি খাতে কত খরচ হবে, তার বাজেট তৈরি হয়। সেই বাজেটের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তর থেকে অনুমোদিত হয়। অনুমোদিত অর্থে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন হয়েছে। ফলে তাকে বেআইনি কোনও ভাবে বলা যায় না বলে সূত্রের দাবি।

উল্লেখ্য, যাদবপুরে গত সমাবর্তন ঘিরে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। রাজভবন থেকে বার্তা না আসার পর সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয় আধঘণ্টা পরে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, রাজ্যপাল যেহেতু আচার্য, তাই তিনি না জানিয়েও সমাবর্তনে চলে আসতে পারেন। তাই ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
গত শুক্রবার যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে সরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। ৩১ মার্চ ভাস্করবাবু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদ থেকে অবসর নিতে চলেছেন। চারদিন আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়াটা অপমানজনক মনে করছেন অনেকে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন হয়ে রয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই স্থায়ী উপাচার্যের নামের তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। অধ্যাপকদের মতে, রাজ্যপাল সেখান থেকে যাদবপুরের জন্য স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারতেন।