সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙলে বিপদ খোদ মালিকেরই। তার ধনও যাবে, কূলও যাবে। এবার থেকে কলকাতায় বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙলে জরিমানা ও জেল দুটোই হতে পারে বাড়ির মালিকের। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার তরফে একথা জানানো হয়েছে।
কলকাতায় এখন বিপজ্জনক বাড়ি একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বিপজ্জনক বাড়ি ধসে পড়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, এবার তার প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। সর্বদলের সম্মতিতে এই প্রস্তাব পুরসভায় পাশ হয়েছে। সেখানে শহরের সমস্ত বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে দ্রুত সারিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা। যে বাড়ি মেরামত করা সম্ভব হবে না, সেই জীর্ণ বাড়িগুলিকে ভেঙে ফেলতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিপজ্জনক বাড়ি থাকলে সেটি ভেঙে তৈরি করে দেবে পুরসভা। কিন্তু যতদিন না কোনও প্রোমোটার বা মালিক ওই জায়গার দাবি করছে, ততদিন এলাকাটি পৌরসভার দখলেই থাকবে।
[ আরও পড়ুন: এনআরসি ইস্যুতে উত্তপ্ত কলকাতা পুরসভা, বিজেপি কাউন্সিলরকে পালটা ফিরহাদের ]
আগে শহরের বিপজ্জনক বাড়ির গায়ে নোটিস বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েই কাজ সারত পুরসভা। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হত না। বিপজ্জনক বাড়িগুলি ওই অবস্থাতেই রয়ে যেত। এরপর পুরসভার তরফে জানানো হয়, বিপজ্জনক বাড়িগুলি মেরামত করলে বাড়ির মালিককে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত সুবিধা দেওয়া হবে। তাতেও টনক নড়েনি বাড়ির মালিকদের। এও কিছু সত্ত্বেও শহরে বহু বিপজ্জনক বাড়ি আজও রয়ে গিয়েছে। তাই এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। সংশোধন করা হল পুর আইনে।
বর্তমানে কলকাতায় বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এর মধ্যে আবার ৩০০টির মতো বাড়িকে অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই বাড়িগুলিকে দ্রুত ভেঙে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা। পুরসভার তরফে এও জানানো হয়েছে, নির্দেশ অমান্য করলে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাড়ি সংস্কার না করলে সেই বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। বাড়ি ভেঙে পড়ে কেউ আহত হলে বাড়ির মালিককে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। আর যদি বাড়ি ভেঙে কারওর মৃত্যু হয়, তাহলে বাড়ির মালিকের ৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
[ আরও পড়ুন: আশানুরূপ ফল না হলেও রাজ্য দপ্তরের বাইরে ফাটল বাজি, ক্ষুব্ধ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব ]
The post পুর আইনে বদল, বিপজ্জনক বাড়ি সংস্কার না করলে হবে জেল বা জরিমানা appeared first on Sangbad Pratidin.