অভিরূপ দাস: ম্যাক্স, ব্রুস, র্যাচেল, কোর্টনি, জাস্টিন..। সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে আসছেন আমেরিকা থেকে কলকাতায়। ইচ্ছে একটাই, শহরের গঙ্গা আরতি দেখবেন। আমেরিকার সে অতিথিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা।
মকর সংক্রান্তির পুণ্যতিথিতে বাজে কদমতলা ঘাটে হর হর গঙ্গে চিৎকারে যাঁরা কপালে হাত ঠেকাবেন তাদের কারও বাড়ি নিউ জার্সি কেউ বা ওয়াশিংটনে থাকেন। কলকাতার সঙ্গে এঁদের যোগসূত্র চিকিৎসক অন্বেষা বসু। প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসক থাকেন আমেরিকায়। আমেরিকার ম্যাক্সের সঙ্গে বাঁধা পড়েছেন সাতপাকে। রীতিমতো ভারতীয় মতে বিয়ে করেছেন। পৌষ সংক্রান্তির মুখে তিনি শহরে ফিরছেন। সঙ্গে একঝাঁক শ্বশুরবাড়ির লোক। কী দেখবে তিলোত্তমায়? স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, লাস ভেগাস দেখা হয়ে গিয়েছে যাদের। তাঁদের সাধ কলকাতার গঙ্গা আরতি দেখার। অন্বেষার মামি সুনন্দা জানিয়েছেন, গুগল ঘেঁটেই ওরা জেনেছে কলকাতা পুরসভার নতুন গঙ্গা আরতির কথা। প্রচণ্ড উৎসাহ এই আরতি নিয়ে। গঙ্গার ধারে হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি! দেখার জন্য মুখিয়ে তাঁরা। এই দলে কেউ চিকিৎসক কেউ সায়েন্টিস্ট।
[আরও পড়ুন: ‘ইডির বিরুদ্ধে এখনই পুলিশি পদক্ষেপ নয়’, সন্দেশখালি কাণ্ডে নির্দেশ হাই কোর্টের]
ভাগ্নি ফিরছে শহরে। সঙ্গে একঝাঁক বিদেশি। স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায়কে জানান সুনন্দা। এরপর মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের সঙ্গে কথা বলেন ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। অতজন বিদেশি আসবেন। কী ব্যবস্থা করা যায়? মেয়র পারিষদ তারক সিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন দেবাশিস কুমার। সোমবার মেয়র পারিষদ তারক সিং জানিয়েছেন, দেবাশিস কুমার আমায় একটি তালিকা দিয়েছে। সেখানে ৬৪ জনের নাম রয়েছে। দুটো বাসে বিদেশিরা আসবেন। সেই বাস যাতে বাজে কদমতলা ঘাটের আশপাশে পার্কিং করা যায়, এবং বিদেশিদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে কমিশনার বিনোদ কুমারকে জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে দু’দিন গঙ্গা পুজো এবং ভোগ বিতরণ হবে বাজে কদমতলা ঘাটে। বিদেশিরা চাইলে সে ভোগও নিতে পারেন। পুরসভা সূত্রে খবর, আগামী ১৪ এবং ১৫ দু’দিনই তারা খেপে খেপে আসবেন বাজে কদমতলা ঘাটে। সন্ধে ছ’টা থেকে ছ’টা ৪৫ হবে গঙ্গা আরতি। সন্ধে সাতটা থেকে ভোগ বিতরণ হবে মকর সংক্রান্তিতে।