স্টাফ রিপোর্টার: বাম আমলে সরকারি টাকায় শহরে তৈরি কতগুলি সম্পত্তি ট্রাস্ট ও কো-অপারেটিভের অধীনে রয়েছে, তার তালিকা তৈরি করে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তালিকা তৈরি করতে পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কমিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়ে এই সব সম্পত্তি চিহ্নিত করে কোথায় কী অনিয়ম হয়েছে, তা তদন্তের পর মেয়রকে রিপোর্ট জমা দেবে।
বাম আমলে তৈরি বিজয়গড় নিরঞ্জন সদন প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে তৃণমূল (TMC) ও সিপিএমের (CPM) মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়। বাম আমলে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন জমিতে কেএমডিএ-র টাকায় তৈরি করা হয়েছিল এই প্রেক্ষাগৃহটি। সরকারি টাকা ও জমিতে তৈরি হলেও প্রেক্ষাগৃহ পরিচালনার দায়িত্ব বেসরকারি ট্রাস্টি বোর্ডের হাতে তুলে দিয়েছিল তৎকালীন বাম সরকার। যে ট্রাস্টি বোর্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল তার চেয়ারম্যান সুজন চক্রবর্তী। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ না করায় প্রেক্ষাগৃহের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। এদিন অধিবেশনে এই প্রেক্ষাগৃহ রক্ষণাবেক্ষণ করতে প্রস্তাব পেশ করেন ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, বাম আমলে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের জমিতে কেএমডিএ-র টাকায় তৈরি প্রেক্ষাগৃহটি ভাড়া দিয়ে মুনাফা লুটছে অথচ রক্ষণাবেক্ষণ করছে না ট্রাস্টি বোর্ড। প্রেক্ষাগৃহটি বাঁচিয়ে রাখতে কলকাতা পুরসভা (KMC) অধিগ্রহণ করুক।
[আরও পড়ুন: শ’খানেক সিপিএম কর্মী নিয়ে সিনেমা হলে ‘অপরাজিত’ দেখতে যাচ্ছেন বিমান-সূর্যকান্তরা]
মেয়র বলেন, “বাম আমলে সরকারি ও পুরসভার জমি এবং টাকাতে অনেক সম্পত্তি তৈরি করে ট্রাস্ট, কো-অপারেটিভকে দেওয়া হয়েছে। সেগুলি একটি তালিকা তৈরি করতে কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনার একটি কমিটি গঠন করে কাউন্সিলরদের নিয়ে সেগুলি চিহ্নিত করে কোথাও কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা তা তদন্ত করবে। সরকারের সঙ্গে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে তাদের কী চুক্তি রয়েছে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে।” তার মধ্যে বেশ কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
ওয়াটার হাট – ইচ্ছেমতো ওয়ার্ডে ঠান্ডা জলের মেশিন বসাতে পারবেন না কাউন্সিলররা। যে সংস্থা বসাবে তাঁকে পাঁচ বছরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে। রক্ষণাবেক্ষণ যেসব হচ্ছে না সেসব ওয়াটার হাটের জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।
প্লাস্টিক বন্ধের আবেদন – শহরবাসীকে প্লাস্টিক, থার্মোকল ব্যবহার না করার আবেদন করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ফের বরো ভিত্তিক প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে।
ক্ষোভ প্রকাশ – পথকুকুর নির্বীজকরণ কর্মশালায় কাউন্সিলরদের হাজিরা সংখ্যা কম থাকা নিয়ে শুক্রবার অধিবেশন কক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
[আরও পড়ুন: নিজের পায়ে দাঁড়ালেই মা-বাবাকে ডিভোর্স! বিপদ বাড়াচ্ছে আলাদা হওয়ার প্রবণতা]
পার্কিংয়ের জায়গা – পার্কিংয়ের জায়গা দখল করে ব্যবসা চলছে আবাসনগুলিতে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, বিষয়টি দেখার জন্য বিল্ডিং দফতরকে নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি অনলাইন ট্রেড লাইসেন্সে আবেদনে কারপার্কিং জায়গায় ব্যবসা করছে কি না এখন থেকে তা উল্লেখ করতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে – ডেঙ্গু রুখতে হকারদের প্লাস্টিক খুলে ফেলার অভিযানে নামতে কলকাতা পুরসভাকে আবেদন করলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। হকারদের প্লাস্টিক খু্লতে কলকাতা পুলিশকে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।