অভিরূপ দাস: হই হট্টগোল নয়। শোরগোল নয়। চুপচাপ চোর ধরতে হবে। হুকিং দেখলেই ফোন করুন, পুর কমিশনার কিম্বা মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। ১৪৪ জন কাউন্সিলরের কাছে এমনই নির্দেশ মেয়রের।
তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় জেরবার প্রশাসন। ২০১৯ সালে হোর্ডিং লাগাতে গিয়ে, ২০২১ সালে তরুণ ইঞ্জিনিয়ার কিম্বা হালে একবালপুরে দুই মহিলা। একের পর এক ঘটনায় প্রমাণিত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর নেপথ্যে আসল কারণ হুকিং। বিদ্যুৎ চুরি করে তার খোলা রেখে দিচ্ছে প্রতারকরা। না জেনেই সে তার শরীরের সংস্পর্শে এলেই বিপদ। একের পর এক অনভিপ্রেত ঘটনা। বর্ষা আসন্ন। জমা জলে ইলেকট্রিক পোস্টের তার থেকে ফের যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সতর্ক প্রশাসন।
শনিবার কলকাতা পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, “প্রতিটি কাউন্সিলররা জানেন কোথায় হুকিং হচ্ছে। বাঁধা দিতে গেলে অশান্তি বাড়বে। দেখে নিন। আমাকে অথবা পুর কমিশনারকে ফোন করে জানান। আমরা লোক পাঠাব।” অতি সম্প্রতি বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতে বৈঠক হয়েছে পুরসভায়। যেখানে সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ছাড়াও ছিলেন কলকাতা পুলিশ এবং পুর আধিকারিকরা। প্রতিটি দপ্তর থেকে একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘টিম’। কাউন্সিলররা খবর দিলে সে টিমই পৌঁছে যাবে পাড়ায় পাড়ায়।
আন্দামানে প্রবেশ করেছে বর্ষা। বাংলায় মৌসুমি বায়ুর প্রবেশে অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের। শনিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশন চলাকালীন কাউন্সিলরদের সচেতন করার জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে অনুরোধ করেন চেয়ারপার্সন মালা রায়। মেয়র পারিষদ (লাইটিং) সন্দীপ রঞ্জন বক্সি এদিন জানিয়েছেন, জমা জলে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঠেকাতে পাড়ায় পাড়ায় সচেতনতার জন্য মাইকিং করা হবে। কাউন্সিলরদের অনুরোধ, কোন কোন এলাকায় বিশেষ জোর দিয়ে মাইকিং করতে হবে সে ব্যাপারে জানান।