কৃষ্ণকুমার দাস: গলির মুখে ব্যারিকেড। সামনে বড় বড় করে লেখা প্রবেশ নিষেধ। বছরখানেক আগে এই দৃশ্যের সঙ্গে পরিচিত কলকাতাবাসী। যার পোশাকি নাম কনটেনমেন্ট জোন। নতুন বছরে কি ফের সেই একই ছবি দেখতে চলেছে কলকাতাবাসী? শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ডাকা জরুরি বৈঠকে সে বিষয়েই আলোচনা হয়। ইতিমধ্যেই কলকাতার ১৭টি পয়েন্টকে কনটেনমেন্ট হিসাবে চিহ্নিত করার ভাবনা। সেই প্রস্তাব নবান্নে পাঠানো হয়েছে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ওমিক্রনের দাপট ক্রমশ বাড়ছে। সংক্রমিতদের মধ্যে ৮০ শতাংশই উপসর্গহীন। আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ হাসপাতালে ভরতি। কোনও এলাকায় ৫ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হলেই সেটিকে কনটেনমেন্ট হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। ইতিমধ্যে ১৭টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই ভাবনা পুরসভার তরফে নবান্নে জানানো হয়েছে। কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে বন্ধ থাকবে ক্লাব, সুইমিং পুল ও জিম।”
[আরও পড়ুন: হাজার খুঁজেও মেলেনি সরকারি চাকুরে পাত্র, ‘অবসাদে’ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী যুবতী]
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। মেয়র জানান, কলকাতার কোনও ফ্ল্যাটে যদি করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে, সেক্ষেত্রে পুরসভার তরফ থেকে গোটা আবাসন জীবাণুমুক্ত করা হবে। লিফটের আশেপাশে রাখতে হবে স্যানিটাইজেশনের বন্দোবস্ত। পুরসভার কোনও কর্মীদের জ্বর, সর্দি, কাশি হলে ৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার পরই কাজে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা। সংক্রমণ রুখতে ফের সেফ হোমগুলি চালুর সিদ্ধান্ত।
করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে। ওমিক্রন সন্দেহভাজনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। ফোন না ধরলে প্রয়োজনে তাঁর বাড়ি যাবেন পুরকর্মীরা। আদৌ আক্রান্ত কিংবা করোনা সন্দেহভাজনরা হোম আইসোলেশনের নিয়ম মানছেন কিনা, সে বিষয়েও নজর রাখার সিদ্ধান্ত।