অভিরূপ দাস: ঘনঘন ফেরুল পরিস্কারের ঝক্কি ঠেকাতে ফেরুল উঠে আসবে মাটির উপরে। গোটা মহানগর জুড়ে নয়, যে সমস্ত পুর এলাকায় ভূর্গভস্থ জলের ব্যবহার বেশি তার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
পরিশ্রুত পানীয় জল এসে পৌঁছয়নি। শহরের এমন এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা ভূগর্ভস্থ জল। এদিকে ভূগর্ভস্থ জলে অত্যধিক আয়রন থাকার জন্য প্রায়শই ফেরুলে ‘আয়রন’ জমে। ঘন ঘন মাটি খুঁড়ে তা পরিস্কার করতে হয়। বর্ষায় ঘনঘন রাস্তা খোড়া হলে জল-ফ্যাসাদে পড়েন বাসিন্দারা। এমন সব এলাকাতেই ফেরুল তোলা হবে মাটির উপরে। অথবা ফেরুলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে স্টপ কক। যাতে বার বার মাটি না খুঁড়েই তা পরিস্কার করা যায়।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশিদের জন্য চালু হবে ই-মেডিক্যাল ভিসা’, হাসিনা সাক্ষাতে বড় ঘোষণা মোদির]
শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, চেষ্টা করছি দ্রুত সমস্ত কলকাতায় পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে। এখনও যে সমস্ত এলাকায় তা পৌঁছয়নি সেখানে দুমাসে একবার করে মাটি খুঁড়ে ফেরুল পরিস্কার করতে হচ্ছে। এই খোঁড়াখুড়ি ঠেকাতে প্রয়োজনে ফেরুলগুলিকে মাটির উপরে কোনও বাড়ির ভেতর আনা হবে। জল বিভাগের আধিকারিকদের দ্রুত বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
এদিন কসবা এলাকা থেকে জলের অভাব নিয়ে মেয়রের কাছে অভিযোগ জানান দেবাশিস সুর। দেবাশিস বাবুর অভিযোগ, বছর ঘুরতে চললেও পরিশ্রুত পানীয় জল আসছে না এলাকায়। জল এমন চুল লাল হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির বাসনেও দাগ হয়ে যাচ্ছে। জলের জন্য রাস্তার অবস্থাও খারাপ। আয়রনের স্তর ফেরুলে জমে প্রায়ই ‘ব্লক’ হয়ে যায়। তা পরিস্কার করতে রাস্তা খুঁড়ে ফেরুল পরিস্কার করতে হয়। ঘন ঘন রাস্তা খোড়ায় এলাকার বাসিন্দারা বিপাকে। দেবাশিস বাবুর অভিযোগ, একটা বিহিত করুন। মেয়রের আশ্বাস ২০২৬ এর মধ্যে পরিশ্রুত পানীয় জল আসবে কসবায়। এখন এই সমস্ত এলাকায় ডিপ টিউবয়েলের জল দিয়ে কাজ চলছে। মেয়র নিজেই জানিয়েছেন, সেখানে আয়রন এত বেশি বেরচ্ছে। এক মাস অন্তর অন্তর ফেরুল জ্যাম হয়ে যাচ্ছে। পুরো রাস্তা কেটে কেটে ফেরুল পরিস্কার করতে হচ্ছে। পিচ হবে কখন? আবার একমাস পরে ফেরুল পরিস্কার করতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: তিস্তা চুক্তি নিয়ে সদর্থক বার্তা মোদির, ভারতকে ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ বললেন হাসিনা]
এদিন জল বিভাগের ডিজিকে মেয়র জানিয়েছেন, ফেরুলগুলোকে এমন একটা জায়গায় আনুন, তা যেন থাকে বাড়ির সামনে মাটির উপরে। বার বার রাস্তা খুঁড়লে বাসিন্দাদের অসুবিধা হওয়া স্বাভাবিক। অন্তত যতদিন না পরিশ্রুত পানীয় জল আসছে ওগুলোকে মাটির ওপর নিয়ে আসুন। তার জন্য সমস্ত খরচ কলকাতা পুরসভা দেবে।