shono
Advertisement

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প বাতিল, তপসিয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করবে পুরসভা

বুধবার এ বিষয়ে বৈঠক করবেন ফিরহাদ হাকিম।
Posted: 09:36 PM Nov 24, 2020Updated: 09:40 PM Nov 24, 2020

কৃষ্ণকুমার দাস: সেচ দপ্তরের জমিতে ‘বাংলার বাড়ি’ নির্মাণে আইনি জটিলতা। সেই কারণে তপসিয়ার (Tapsia) ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের নিজেদের ‘আশ্রয়’ তৈরিতে আর্থিক সাহায্য করবে কলকাতা পুরসভা। বুধবার পুরভবনে স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী জাভেদ খানের সঙ্গে ওই ‘সাহায্য’ নিয়ে  বৈঠক করবেন পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

Advertisement

গত ১০ নভেম্বর রাসায়নিক কারখানা থেকে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে যায় তপসিয়ার বিশাল বড় ঝুপড়ি। দমকলের ২২টি ইঞ্জিন আগুনে আয়ত্তে আনার পর রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য পুরমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সেচ দপ্তরের জমিতে গড়ে ওঠা ওই ভস্মীভূত বস্তির ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে পাকা বিল্ডিংয়ে পুনর্বাসন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ফিরহাদ। কিন্তু প্রায় দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও সেচ দপ্তর থেকে আইনি সবুজ সংকেত না পাওয়ায় মঙ্গলবার ওই প্রকল্প বাতিল করে দিল পুরসভা। এদিন রাতে স্বয়ং পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, “বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর তৈরি করে দিতে দেরি হচ্ছে, তাই পুরসভা আর্থিক সাহায্য করবে। ওই টাকায় ক্ষতিগ্রস্তরা নিজেরাই নিজেদের আশ্রয় তৈরি করে নিতে পারবে।”

[আরও পড়ুন: ‘ঐক্যবদ্ধভাবেই আগামী নির্বাচনে লড়ব’, শুভেন্দুর দল ছাড়ার জল্পনা ওড়ালেন সৌগত রায়]

তপসিয়া অগ্নিকাণ্ডে বিশাল ঝুপড়িতে ৩৫টি বড় ঘর থাকলেও অনেকগুলি পরিবার একসঙ্গে বসবাস করতেন। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা জাভেদ-পুত্র ফৈয়াজ খান জানিয়েছেন, “১০৪টি পরিবার ওই ৩৫টি ঘরে থাকতেন। এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি এতটাই হতদরিদ্র যে ওদের ত্রিপল কেনারও সামর্থ্য নেই।”

[আরও পড়ুন: করোনা কালে বড়দিন-বর্ষবরণে কীভাবে মানা হবে দূরত্ববিধি? পরিকল্পনা শুরু কলকাতা পুলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement