নিরুফা খাতুন: রক্সির পর সিমপার্ক মলের (Simpark Mall) দখল নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। দখল নিয়ে মলের ভূগর্ভস্থ পার্কিং পুনরায় চালু করতে চাইছে পুর কর্তৃপক্ষ। মল থেকে বিজ্ঞাপন হোর্ডিং সরিয়ে ফেলতে সম্প্রতি সিমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে নোটিসও পাঠিয়েছে পুরসভা (KMC)।
নিউ মার্কেটের (New Market) পাশে ভূগর্ভস্থ শপিংমল সিমপার্ক। পুরসভার সম্পত্তি। এই মল সিমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে ২০ বছরের লিজ দিয়েছিল পুরসভা। গত অক্টোবরে লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে আর চুক্তি করতে চাইছে না পুরসভা। সিমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ চুক্তি পুনর্নবীকরণের আবেদন করেনি বলে জানিয়েছে পুরসভার বাজার বিভাগ। এখন এই ভূগর্ভস্থ মল পুরসভা নিজেই চালাবে। এখানে দোকান রয়েছে ১৮০টি। এছাড়া রয়েছে ভূগর্ভস্থ স্বয়ংক্রিয় পার্কিং লট।
এর আগে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা না থাকায় তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় মলটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে দমকলের ছাড়পত্র নিয়ে মল চালু করা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু পার্কোম্যাট চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। মেয়র পারিষদ(বাজার) আমিরুদ্দিন ববি বলেন, সিমপার্ক মল যে সংস্থাকে লিজ দেওয়া হয়েছিল তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। পুরসভা নতুন করে আর চুক্তি করছে না। পুনরায় মলের দখল নেবে। তিনি জানান, মলের দায়িত্ব বাজার দেখবে। ভূগর্ভস্থ পার্কিংয়ের দায়িত্ব পুরসভার পার্কিং বিভাগকে দেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যালেও ‘হোক কলরব’! অনশনে কি বহিরাগতর মদত? চিন্তায় প্রশাসন]
সংস্থার সঙ্গে পুরসভার লিজের মেয়াদ শেষ হয়েছে ঠিকই। তবে মলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে এখনও অনেকটা সময় বাকি। দোকান নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ৬০ বছরের চুক্তি হয়েছে। মেয়র পারিষদের বক্তব্য, মল হস্তান্তর করা নিয়ে ব্যবসায়ীদের কোনও সমস্যা হবে না।
পুরসভার পার্কিং বিভাগ সূত্রে খবর, মলের ভূগর্ভস্থ পার্কিং জতুগৃহ হয়ে রয়েছে। ভিতরে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থাও যথাযথ করেনি নির্মাণকারী সংস্থা। অগ্নিনির্বাপণের যেটুকু পরিকাঠামো করেছিল সেগুলি এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভূগর্ভস্থ এই পার্কিং লট চালু করতে হলে নতুন করে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং তার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দরকার।
ভূগর্ভস্থ এই পার্কিং লটে ২৭০টি মতো গাড়ি রাখার জায়গা রয়েছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি ওঠানামা করতে পারে। নিউ মার্কেট চত্বরে পার্কিং একটা বড় সমস্যা। এই পার্কিং লট চালু হলে নিউ মার্কেট এলাকায় বেআইনি পার্কিং-রাজ রোখা যাবে বলে মনে করছে পুর প্রশাসন। মেয়র পারিষদ (পার্কিং) দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘ওই পার্কিং লট পুরসভা চালাবে। বাজার বিভাগ দখল নিলে তারপর পার্কিং লট চালু করার কাজ শুরু করা যাবে। দমকল ও সিইএসসিকে সঙ্গে নিয়ে ভূগর্ভস্থ মার্কেট পরিদর্শন করে অগ্নিনির্বাপণের কাজ করা হবে।