shono
Advertisement

Breaking News

কোভ্যাক্সিনের ভাঁড়ার শূন্য, দেড় লক্ষ কলকাতাবাসীর দ্বিতীয় ডোজ অনিশ্চিত

শুক্রবার কলকাতার ৪০টি সেন্টারে টিকাকরণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
Posted: 09:24 PM Jul 22, 2021Updated: 09:24 PM Jul 22, 2021

কৃষ্ণকুমার দাস: ফের কলকাতায় ভ্যাকসিন সংকট। কেন্দ্রীয় সরকার কোভ্যাক্সিন (Covaxin) না পাঠানোয় কলকাতা পুরসভার (KMC) সেন্ট্রাল স্টোরের ভাঁড়ার ফের শূন্য। তাই শুক্রবার কলকাতার ৪০টি সেন্টারে টিকাকরণ (Vaccination) বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে পুরসভা। রক্সি সিনেমা হলের মেগা টিকাসেন্টারেও পাওয়া যাবে না টিকা (Corona Vaccine)।

Advertisement

সাধারণত কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। জানা গিয়েছে, এমন দেড় লক্ষ মানুষের দ্বিতীয় ডোজে অপেক্ষায় দিন গুনছেন। তাঁদের টিকাকরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। নির্দিষ্ট দিনে যে ওই টিকা প্রাপকদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না, তা বৃহস্পতিবার স্বীকার করে নিয়েছেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্তারা। পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশাসক ও বিদায়ী ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সময়ে কোভ্যাক্সিন না পাঠানোয় রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার শূন্য। তাই বাধ্য হয়ে পুরসভার ১৯৪টি কেন্দ্রের মধ্যে যে ৪০টি সেন্টারে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয় তা শুক্রবার বন্ধ থাকছে।” ভ্যাকসিন যেদিন পাওয়া যাবে তার পরদিন থেকে ফের ওই ৪০টি সেন্টারে চালু করা হবে বলেও পুরপ্রশাসক জানিয়েছেন।

পুরসভা সূত্রে খবর, রবিবার টিকা দেওয়া এমনিতে বন্ধ থাকে, তাই ফের শহরে কোভ্যাক্সিন পেতে আগামী সোমবার হয়ে যাতে পারে। পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে টিকাকরণ ও ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া মোকাবিলা নিয়ে এদিন পুরভবনে দীর্ঘ বৈঠক হয়। ১৬টি বরোর প্রত্যেক হেলথ এক্সিকিউটিভ অফিসারের বক্তব্য শুনে কোন বরোর সুনির্দিষ্ট ওয়ার্ডগুলি কেন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে তা জেনে নেন স্বাস্থ্য প্রশাসক অতীন ঘোষ।

একাধিক হেলথ এক্সিকিউটিভ কেন নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে ডিউটিতে আসছেন? টিকার লাইনে নাগরিকরা কেন এত দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকছেন? তা নিয়েও পুর অফিসারদের রীতিমতো কৈফিয়ত তলব করেন তিনি। পরে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য প্রশাসক বলেন, “ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া নিয়ে ফের বরোভিত্তিক বৈঠক শুরু হচ্ছে। সর্বাধিক সংক্রমিত জোন হওয়ায় সোমবার বরো ১১ দিয়ে এই মিটিং শুরু হবে।” গতবারের মতো এবারও সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে যাবেন পুরকর্তারা। প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখবেন পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল অফিসাররা। কোথাও ডেঙ্গুর লার্ভা জমছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন।

[আরও পড়ুন: টেলি অভিনেত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের হুমকি! অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার