কৃষ্ণকুমার দাস: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কিছুটা লাগাম পরানো গিয়েছে। তবে আগামী বছরের শুরুতেই কোভিড (COVID-19) সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগেই কলকাতা শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের কোভিড টিকা দিতে বদ্ধপরিকর পুরসভা। সেই লক্ষ্যে নতুন এক পরিষেবা আনছে তারা- ‘ভ্যাকসিন অন হুইল’।
৩ জুন থেকে শহরে শুরু হচ্ছে ‘ভ্যাকসিন অন হুইল’ (Vaccine on Wheel) পরিষেবা। কী থাকছে এই পরিষেবায়? কলকাতাবাসীর টিকাকরণের প্রক্রিয়া সরলীকরণ করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে পুরসভা। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই দোকানি, হকার বা ব্যবসায়ীরা টিকা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারছেন না। বলছেন, ব্যবসা ছেড়ে কীভাবে যাব? অথচ তাঁদেরই টিকাকরণ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ, দিনরাত কর্মসূত্রে বহু মানুষের সংস্পর্শে আসেন তাঁরা। তাই এবার তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে ভ্যাকসিন।
[আরও পড়ুন: নারদ মামলা অন্যত্র সরাতে মরিয়া CBI, কলকাতা হাই কোর্টে জোরদার সওয়াল তুষার মেহতার]
৩ তারিখ পোস্তা বাজারে একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস পৌঁছে যাবে। যেখানে ১০ জন করে ব্যবসায়ী. হকার বা দোকানদার কিংবা দিনমজুররা টিকা নিতে পারবেন। টিকা নেওয়ার পরই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। নিয়ম মেনে সেই বাসেই আধঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে তাঁদের। কেউ টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভরতি করবেন ওই চিকিৎসকরাই। এই পরিষেবা পেতে আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করার প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভায় কোভিড সংক্রান্ত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুর ও পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পুর ও পরিবহণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগেই এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে বলে খবর। পাশাপাশি, ‘অক্সিজেন অন হুইল’ চালু হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ। পুরসভা সূত্রে খবর, আপাতত একটি অক্সিজেন অন হুইল চালু করা হচ্ছে। অক্সিজেনের চাহিদা কেমন, এই পরিষেবায় কতটা সুবিধা হচ্ছে দেখে তার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শেষকৃত্যের জন্য শহরে আরও ৮টি বৈদ্যুতিন চুল্লি চালু করার প্রস্তাব দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। এদিন সেই প্রস্তাব পাশ হয়। এ প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, “তারাতলার কাছে ভাটচলা এলাকায় ৬টি চুল্লি তৈরি হচ্ছে। বাকি কয়েকটি থাকবে ধাপায়। এই ৮টি বৈদ্যুতিক চুল্লিতে শুধুমাত্র কোভিডে মৃতদের দাহ করা হবে। ধাপার পাশে জলাভূমিতে তৈরি হবে সমাধিস্থল।”