সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা তিনশোর নিচে নেমে এসেছিল। সেই সংখ্যাটাই বুধবার পেরিয়ে গেল দৈনিক তিন হাজার দু’শোর গণ্ডি। আর সেই সঙ্গে দেশে মোট করোনায় বলি হওয়া মানুষের সংখ্যা ২ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) অবস্থা এখনও ভয়ংকর। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। বেড, অক্সিজেনের তীব্র হাহাকার। মৃত্যু যেন রোজনামচা হয়ে উঠেছে। ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম মহারাষ্ট্রের অখ্যাত এক গ্রাম, নানদু্র্বর (Nandurbar)।
গোটা মহারাষ্ট্র যখন অক্সিজেনের তীব্র আকাল, তখন দু’টি অক্সিজেনের সাহায্য প্রতি মিনিটে প্রায় ২৪০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করছে উপজাতি অধ্যুষিত এই গ্রাম। গ্রামের হাসপাতালে এখনও ১৫০টি বেড খালি। প্রতিদিন যেখানে ১২০০ মানুষ আক্রান্ত হতেন, আজ সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩০০। প্রত্যেকে উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন। ফলে মৃত্যুর হারও খুব কম। আর এই সবই সম্ভব হয়েছে গ্রামের মহকুমার শাসক ডা. রাজেন্দ্র ভরুদের (Dr. Rajendra Bharud) দক্ষতায়। যিনি কিনা আবার IAS অফিসারও।
[আরও পড়ুন: কমিশনের নিষেধাজ্ঞাতেও হয়নি শিক্ষা! কোভিডবিধি শিকেয় তুলে ভোটপ্রচার বিজেপির]
গত বছরের শেষে যখন কোভিডের (COVID-19) প্রকোপ তুলনামূলকভাবে কম ছিল। তখন সেই সময়টিকে মোটেও হালকাভাবে নেননি রাজেন্দ্র। কারণ তিনি সারা বিশ্বের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতেন। ফলে অনুমান করতে পেরেছিলেন মারণ ভাইরাস আবার ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। সেই কারণেই গ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামোর উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন। নতুন অক্সিজেন প্লান্ট বসিয়েছিলেন। যার ফলে যে নানদু্র্বর গ্রামে আগে প্রতি মিনিটে ৬০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন হত তা এখন মিনিটপিছু ২৪০০ হাজার লিটারে পৌঁছে গিয়েছে। যা গ্রামের বাসিন্দাদের কাজেই লাগছে না পড়শি দুই রাজ্য মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটেও পাঠানো হচ্ছে। আবার মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে।