কৃষ্ণকুমার দাস: সরকারি ডেন্টাল কলেজের লেডিজ হস্টেলে বেলেল্লাপনা। বহিষ্কৃত চারজন পড়ুয়া। অভিযুক্তরা মৌলালির আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্সের ছাত্রী। তাঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, দু’জন পুরুষ সহপাঠী ডেকে পাঠিয়ে হস্টেলে ঘরে দিনভর ‘ফূর্তি’ করেছেন তাঁরা। অভিযুক্ত ছাত্ররাও কলেজে পড়াকালীন হস্টেলে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ। যদিও অভিযুক্তদের সাফাই, ‘মালপত্র শিফট করার কাজে সাহায্য করার জন্য ওই দুই ছাত্রকে লেডিজ হস্টেলের ঘরে ডাকা হয়েছিল। হস্টেলে ছাত্রীদের প্রবেশ যে নিষিদ্ধ তা জানতাম না।‘ ভিনরাজ্যের চার ছাত্রীর কীর্তিতে হতবাক চিকিৎসকমহল।
[সম্পর্ক জুড়তে চান, মেয়রকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব স্ত্রী রত্নার]
কলকাতায় সরকারি ডেন্টাল কলেজ একটিই। মৌলালির আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল। এ রাজ্য তো বটেই, এই কলেজে দাঁতের ডাক্তারি পাঠ নেন ভিন রাজ্যের বহু পড়ুয়াও। লেডিজ হস্টেলে বেল্লাপনার অভিযুক্ত চার ছাত্রীও ভিন রাজ্যের। তাঁরা হলেন সমৃদ্ধি থাপা, দিব্যা চাড্ডা, হেনা তানোয়ার এবং সীমা রাঠী। চারজনের বাড়ি পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি ও নেপালে। বিডিএস কোর্স শেষ করার পর সর্বভারতীয় কোটায় এ শহরের আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন পড়ার সুযোগ পেয়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রীরা। লেডিজ হস্টেলের অন্য আবাসিকদের অভিযোগ, রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আশিসকুমার বারুই ও অনির্বাণ সোম নামে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের দুই পড়ুয়াকে হস্টেলে ডেকে নিয়ে যান ওই চার ছাত্রী। ঘণ্টা তিনেক বাদে এক ছাত্রকে নিয়ে বেরিয়ে যান এক ছাত্রী। অন্য এক ছাত্রীর ঘরে অপর ছাত্র বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ছিলেন। রাতেই লেডিজ হস্টেলের সুপার অমৃতা ঘোষের কাছে অভিযোগ জানান হস্টেলের অন্য ছাত্রীরা। অভিযুক্ত চারজনকেই শো-কজ করা হয়। শো-কজের জবাবও দেন তাঁরা। সোমবার জরুরি বৈঠকে বসেন ডা. আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল কাউন্সিল। বৈঠকে অভিযুক্ত চার ছাত্রীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লেডিজ হস্টেল ছেড়ে চলে যেতে হবে তাঁদের। শাস্তি পেয়েছে অভিযুক্ত দুই ছাত্রও। ঢোকা তো দুর অস্ত, কলেজে পড়াকালীন হস্টেলে থাকতেও পারবেন না তাঁরা।
[১৯ এপ্রিল পর্যন্ত আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলবে হাই কোর্টে, কাজকর্ম শিকেয়]
আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালে অধ্যক্ষ ডা. গিরি জানিয়েছেন, ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না। হস্টেল সুপারের রিপোর্ট ও লিখিত বক্তব্য পেয়েই কলেজের আইন মেনে ছাত্রীদের অবিলম্বে হস্টেল ছাড়তে বলা হয়েছে।‘ অভিযুক্ত ছাত্রীরা বক্তব্য, ‘মালপত্র শিফট করার কাজে সাহায্য করার জন্য ওই দুই ছাত্রকে লেডিজ হস্টেলের ঘরে ডাকা হয়েছিল। হস্টেলে ছাত্রীদের প্রবেশ যে নিষিদ্ধ তা জানতাম না।‘ ডেন্টাল কলেজের লেডিজ হস্টেলে ছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আবার ছেলেদের হস্টেলে বিনা অনুমতি ঢুকতে পারেন না ছাত্রীরাও। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, ভরতির ফর্মেই হস্টেল সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম উল্লেখ করা থাকে। তাই নিয়ম জানতেন না যে দাবি অভিযুক্ত ছাত্রীরা করছেন, তা ধোপে টেকে না।
[ইকো পার্কে দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে আঘাত, এখনও ভেন্টিলেশনে আহত রিয়ান]
The post ডেন্টাল কলেজের লেডিজ হস্টেলে ২ ছাত্রের সঙ্গে ‘ফূর্তি’, বহিষ্কৃত ৪ ছাত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.