সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুকুমার রায়ের (Sukumar Ray) ‘ছায়াবাজি’ কবিতার সেই অদ্ভুত লোকটাকে মনে পড়ে? ছায়ার সঙ্গে কুস্তি কিংবা ছায়া ধরার ব্যবসার মতো আজব সব কারবারে জড়িয়ে ছিল যে। আগামী রবিবার ৫ জুন বেলা বারোটা বাজার কিছু আগে সে বেকার হয়ে যাবে মুহূর্তের জন্য। কেননা, সেই সময় কলকাতা হয়ে যাবে ছায়াহীন! শুধু কলকাতা (Kolkata) নয়, গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই দেখা যাবে এমন আশ্চর্য দৃশ্য।
বিজ্ঞানের পরিভাষায় অবশ্য এটা কোনও ‘আজব’ ব্যাপার নয়। গোটা বিশ্বেই নানা সময়ে নানা দেশের মানুষ সাক্ষী হন এমন মুহূর্তের। এই মুহূর্তকে বলা হয় ‘জিরো শ্যাডো মোমেন্ট’ অর্থাৎ ছায়াশূন্য মুহূর্ত। বছরে দু’বার আসতে পারে এমন মুহূর্ত। আগামী রবিবার বেলা ঠিক ১১টা ৩৪ মিনিটে কোনও ছায়া পড়বে না মাটিতে। এরপর ৭ জুলাই বেলা ১১টা ৪১ মিনিটে ফের শহরবাসী সাক্ষী হবেন ছায়াহীন মুহূর্তের। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি। এর আগে ২০২১ সালেও কলকাতা এমন মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘কেকে’র প্রতি বিদ্বেষ নেই, ওঁর পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী’, ভুল স্বীকার রূপঙ্করের]
কিন্তু কেন হয় এমন? আসলে এর পিছনে রয়েছে সূর্য ও পৃথিবীর অবস্থানের খেলা। সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ণের সময়ে কর্কটক্রান্তি রেখার দক্ষিণে এমনটা দেখা যায়। সূর্যের কৌণিক অবস্থানের ফলে অনেক সময়ই ছায়া চলে যায় উৎসের ঠিক নিচে। ফলে সেই ছায়া দেখা যায় না। মনে হয় ছায়া পড়ছে না।
প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জিরো শ্যাডো ডে দেখা যায়। দেবীপ্রসাদ দুয়ারি জানাচ্ছেন, এই ধরনের ঘটনা মনে করিয়ে দেয় মহাজাগতিক বস্তুদের গতি ও অবস্থানের বিষয়টিকে। পৃথিবীর সঙ্গে তাদের অবস্থানের পরিবর্তনের ফলেই এই নীল গ্রহ সাক্ষী হয় ঋতুবদল, চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণের মতো প্রাকৃতিক ও মহাজাগতিক নানা পরিবর্তনের।