shono
Advertisement

Breaking News

নজিরবিহীন! এক মাস করোনা পজিটিভ থেকেও বেঁচে ফিরলেন দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ

টানা ৪৮ দিন একমো সাপোর্টে, যা দেশের মধ্যে বিরলতম!
Posted: 09:37 AM Feb 28, 2021Updated: 09:37 AM Feb 28, 2021

অভিরূপ দাস: কোভিডের (COVID-19) তিরে ক্ষতবিক্ষত ফুসফুস। টানা ৪৮ দিন একস্ট্রা কর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন সাপোর্টে। ইচ্ছাশক্তিতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন পিতামহ ভীষ্ম। নিজের ইচ্ছে আর চিকিৎসকদের সাহায্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেন দন্তচিকিৎসক রোশনি দে। করোনার (Coronavirus) শরাঘাতে টানা ৪৮ দিন একমো সাপোর্ট! দেশের মধ্যে নজিরবিহীন। রোগীকে নতুন জীবন ফিরিয়ে দিয়ে শিরোনামে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল।

Advertisement

নতুন জীবন পাওয়া রোশনি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ডেন্টাল সার্জন। তাঁর স্বামী আশিস ঘোষ কান-নাক-গলার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। পেশার কারণে দু’জনের পক্ষেই সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয়। রোগীর মুখের সামনে গিয়েই চিকিৎসা করতে হয়। নভেম্বরের শেষে করোনা আক্রান্ত হন এই চিকিৎসক দম্পতি। মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁদের। জেনারেল আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছিল আশিসবাবুর। কিন্তু স্ত্রীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন দ্রুত নামছিল। দ্রুত তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়।

[আরও পড়ুন প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীর নাম দিল্লি পাঠাল বঙ্গ বিজেপি, তালিকায় ১ ডজনেরও বেশি তারকা!]

তাতেও লাভ হয়নি। মুকুন্দপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রোগীকে। একমো বিশেষজ্ঞ ডা. দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, ডা. অর্পণ চক্রবর্তীর অধীনে শুরু হয় চিকিৎসা। ডা. দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রোগীর ভাইরাল লোড ছিল মারাত্মক বেশি। শরীর থেকে যে পদ্ধতিতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়, রোশনির ফুসফুস তাতে সহায়তা করছিল না। শরীরে বাড়তি কার্বন ডাই অক্সাইড থাকলে তা মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড-সহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে প্রভাব ফেলে। তাই একমো যন্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একমো সাপোর্ট দিয়েই রোগীকে নিয়ে আসা হয় মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে।

প্রায় ৬১ দিন চিকিৎসা চলে তাঁর। তার মধ্যে ৪৮ দিন একমো সাপোর্টে। অগুনতি ব্রঙ্কোস্কোপি করা হয় রোগীর। টানা একমাস ধরে কোভিড পজিটিভ। তবু আশা হারাননি চিকিৎসকরা। কার্যত মৃত্যুকে হারিয়ে নতুন জীবন পেয়েছেন রোশনি। মেডিকার একমো বিশেষজ্ঞ ডা. অর্পণ চক্রবর্তীর কথায়, শরীরের সমস্ত রক্তের সার্কুলেশন করা হচ্ছিল যন্ত্রের মাধ্যমেই। কৃত্রিম উপায়ে তা থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শুষে নিয়ে রক্তে অক্সিজেন প্রবেশ করানো হয়েছে দীর্ঘদিন। আপাতত দু’জনেই সুস্থ।

[আরও পড়ুন: ভোট ঘোষণার পরই অপসারিত জাভেদ শামিম, সরানো হল দমকল বিভাগে]

রাজ্যজুড়ে করোনায় যত চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন তার সিংহভাগই ইএনটি এবং দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ। কেন এই দুই শাখার চিকিৎসকরা বিপদে? ডা. দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মূলত ‘অকুপেশনাল এক্সপোজার’-ই এর কারণ। রোশনির স্বামী চিকিৎসক আশিস ঘোষের কথায়, “উপসর্গহীন প্রচুর কোভিড রোগী আসেন আমাদের চেম্বারে। যাঁরা নাক-গান-গলার চিকিৎসক তাঁদের রোগীর মুখের কাছে গিয়ে রোগীকে দেখতে হয়। অন্যান্য শাখার চেয়ে তাই আমাদের করোনা হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement