গৌতম ব্রহ্ম: ২৪ দিন একমো-সহ ৪৯ দিন ভেন্টিলেশনে। ভয়ংকর হয়ে ওঠা নিউমোনিয়ার সঙ্গে লড়াই করে বাহাত্তর বছরের এক বৃদ্ধাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনল দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) ঢাকুরিয়া এলাকার আমরি হাসপাতাল। ফের গড়ল নজির।
এর আগে ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে থাকা ষাট ছুঁইছুঁই এক কোভিড পজিটিভ রোগীকে বাঁচিয়ে রেকর্ড গড়েছিল আমরির (AMRI) সিসিইউ ইউনিট। এবারের লড়াইও ছিল বেশ কঠিন। ফুসফুসে নিউমোনিয়া বাসা বাঁধলেও বাইরে থেকে তা বোঝার কোনও উপায় ছিল না। না ছিল কাশি, না শ্বাসকষ্ট। শুধু রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছিল। যাকে বলে হ্যাপি হাইপক্সিয়া। রোগীর স্বামী চিকিৎসক। স্নায়ুর সমস্যা ভেবে গত ২ জুন তিনি মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে নিয়ে যান স্ত্রীকে। কিন্তু স্নায়ুর কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। উলটে রোগীর অবস্থা সংকটজনক হতে থাকে। আইএনকে’র পরামর্শেই এরপর রোগীকে ঢাকুরিয়া আমরিতে ডা. সোহম মজুমদার ও ডা. মহুয়া ভট্টাচার্যের অধীনে ভরতি করা হয় রোগীকে। তারপর প্রায় ৪৯ দিন যমে–মানুষে টানাটানি। বৃহস্পতিবার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে অবশেষে পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ফিরলেন লীলা রায়চৌধুরি।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়াল দেড় লক্ষ, করোনাজয়ীর হার ৮০ শতাংশেরও বেশি]
চিকিৎসকরা জানালেন, আইএনকে থেকে ২৪ জুন আমরিতে আসেন লীলাদেবী। প্রথম দিন থেকেই ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২৫ জুন থেকে ২০ জুলাই একমো সাপোর্ট দিতে হয়। ১১ আগস্ট পর্যন্ত ভেন্টিলেশনেই ছিলেন। অবশেষে শাপমুক্তি। জানা গিয়েছে, রোগীর স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া হয়েছিল। যার সব উপসর্গ কোভিডের মতোই। কিন্তু কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আরও কিছু পরীক্ষার পর জানা যায়, লীলাদেবীর নিউমোনিয়া হয়েছে। মহুয়াদেবী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনে থাকলে কিছু সমস্যা হয়। দুর্বলতাও রয়েছে। ফিজিওথেরাপি করতে হবে। সাবধানতা তো দরকারই। তবে স্বামী যেহেতু চিকিৎসক তাই আশা করা যায়, ওঁ তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: লকডাউনেও রাজনৈতিক জমায়েত, বিজেপি কর্মীদের যোগদানের সভা ঘিরে বিতর্কে শাসকদল]
The post ৪৯ দিন ভেন্টিলেশনে নিউমোনিয়ার সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ বাহাত্তরের বৃদ্ধা, AMRI-এ নজির appeared first on Sangbad Pratidin.