shono
Advertisement
Kolkata Durga Puja 2024

কালীঘাটে ‘মানতপুরী’, পাঁচ হাজার বাল্বে সাজছে মিলন সংঘের মণ্ডপ

লক্ষাধিক ছোট ছোট পাথরের টুকরো ও মিনি পিতলের ঘণ্টা, লাল বেনারসির টুকরো পাশাপাশি সাড়ে পাঁচ হাজার বাল্বের আলো ঝলমল আকাশছোঁয়া মণ্ডপ।
Published By: Subhankar PatraPosted: 03:52 PM Oct 01, 2024Updated: 05:49 PM Oct 01, 2024

স্টাফ রিপোর্টার: মহাতীর্থ কালীঘাটে এসে অনেক ভক্তই মনের সুপ্ত ইচ্ছা পূরণে ‘মানত’ করেন। কেউ আবার ঢিল বেঁধে চলে যায় মন্দিরের আশপাশে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বাইরেও গাছের ডালেও বহু বছর ধরে ভক্তরা মানত করে কিছু একটা বেঁধে চলে যাচ্ছেন। ধর্মীয় আবেগ ও আরাধ‌্যর প্রতি এমন গভীর বিশ্বাসের টানে এমন চল শুধু কালীঘাট বা পুরীর মন্দির নয়, আগ্রার অনতিদূরে ফতেপুর সিক্রিতে পিরবাবার মাজারেও গিট বাঁধার রেওয়াজ বহু বছর ধরে চলে আসছে।

Advertisement

সেই লৌকিক বিশ্বাস ও ধর্মীয় আবেগ নিয়ে কালীঘাট মন্দিরের উলটোদিকের মিলন সংঘের এবছরের বর্ণময়, অভিনব ও নজরকাড়া শারদ ভাবনা 'মানতপুরী'। বলতে দ্বিধা নেই, পুজো শুরুর আগেই মহাতীর্থ কালীঘাটে আসা পুণ‌্যার্থীদের মধ্যে ইতিমধ্যে এই মানতপুরী ঘিরে নয়া উন্মাদনা শুরু হয়েছে।

অবাক নয়নে।

লক্ষাধিক ছোট ছোট পাথরের টুকরো ও মিনি পিতলের ঘণ্টা, লাল বেনারসির টুকরো পাশাপাশি সাড়ে পাঁচ হাজার বাল্বের আলো ঝলমল আকাশছোঁয়া মণ্ডপ। কালীঘাট মন্দির থেকে বেরিয়ে ঠিক উলটো দিকে হরিশ চ‌্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকে পঞ্চাশ ফুট এগোলেই বাঁদিকে বাঁশ ও মানত করার সামগ্রী দিয়েই রয়েছে পর পর গেট। প্রতিটি গেটেই দেখবেন অজস্র ঢিল ও ছোট ছোট ঘণ্টা যেমন ঝুলছে, তেমনই রয়েছে সিঁদুর চুপড়ি, শাঁখা-পলা, মঙ্গলঘট, কুলো, চালনের মতো অজস্র পুজোর উপকরণ। রয়েছে কনেবউয়ের মাথার লাল টুকটুকে অজস্র ছোট ওড়না।

প্রায় দেড়শো মিটার প্রবেশপথের দুপাশেও একইভাবে ভক্তের ভগবানের কাছে আর্তি জানিয়ে 'মানত' চিহ্ন ফুটে উঠেছে। বালুরঘাটের আমতলি, নবদ্বীপের শিল্পীদের নিয়ে প্রায় দুমাস ধরে এই পরিবেশবান্ধব মণ্ডপ তৈরি করেছেন রাজনারায়ণ সাহা চৌধুরি। একচালা প্রতিমা চিরন্তন বাঙালির মাতৃআরাধনার ভাব ও ঐতিহ‌্যকে মনে করিয়ে দেবে প্রতিমা দর্শনার্থীদের। তবে একটা কথা স্পষ্ট, পুজোর কলকাতায় এবছর মিলন সংঘের এই 'মানতপুরী' শারদভাবনা অবশ‌্যই দর্শকদের হিটলিস্টে থাকবে।

পুজো মণ্ডপ।

নির্মাণশিল্পী রাজনারায়ণ বহু বছর ধরে উত্তরবঙ্গের হিলি, রায়গঞ্জ, ময়নাগুড়ির অনেক বিখ‌্যাত পুজোর মণ্ডপ গড়লেও এই প্রথম কলকাতার পা দিয়ে একেবারে মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় শারদভাবনা ফুটিয়ে তুলেছেন। তাৎপর্যপূর্ণ হল, নানা মাপের বিশেষ ধরনের সাড়ে ছয় হাজার বাঁশ সেই বালুরঘাট থেকে নিয়ে এসেছেন। নদিয়া, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর থেকে পুজোর নানা উপকরণ সংগ্রহ করে ৬৫ ফুট উচু এই বর্ণময় মণ্ডপে ব‌্যবহার করেছেন। প্রতিমা গড়ছেন কালীঘাট পটুয়াপাড়ার প্রখ‌্যাত শিল্পী দীপেন মণ্ডল। পুজোর সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ‌্যায় আর সাধারণ সম্পাদক কার্তিক বন্দ্যোপাধ‌্যায়। জোরকদমে শেষমুহূর্তের প্রস্তুতিতে নজরদারি করার ফাঁকে কার্তিক জানালেন, "মণ্ডপে পা রাখলে মনে হবে এক পুরাতনী ঐতিহ্যে ঘেরা দেবী মহামায়ার জাগ্রত মন্দিরে এসেছেন। যেখানে লক্ষ লক্ষ ভক্ত মানত করছেন। ভক্তের সেই মনোবাসনা পূরণ করে চলেছেন ভগবান। আপনারাও আসুন, আপনাদেরও মানত পূরণ করবেন দেবী দশভুজা।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মহাতীর্থ কালীঘাটে এসে অনেক ভক্তই মনের সুপ্ত ইচ্ছা পূরণে ‘মানত’ করেন।
  • কেউ আবার ঢিল বেঁধে চলে যায় মন্দিরের আশপাশে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বাইরেও গাছের ডালেও বহু বছর ধরে ভক্তরা মানত করে কিছু একটা বেঁধে চলে যাচ্ছেন।
  • ধর্মীয় আবেগ ও আরাধ‌্যর প্রতি এমন গভীর বিশ্বাসের টানে এমন চল শুধু কালীঘাট বা পুরীর মন্দির নয়, আগ্রার অনতিদূরে ফতেপুর সিক্রিতে পিরবাবার মাজারেও গিট বাঁধার রেওয়াজ বহু বছর ধরে চলে আসছে।
Advertisement