অভিরূপ দাস: কোভ্যাক্সিনের (Covaxine) পর এবার রাশিয়ার (Russia) ‘স্পুটনিক ভি’ (Sputnik V)! কলকাতার (Kolkata) আরও একটি হাসপাতালে করোনার সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষা হতে চলেছে। আগামী মাসে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ওই টিকা প্রয়োগ করা হবে। টিকা দেওয়ার আগে তাঁদের পর্যবেক্ষণ করবেন চিকিৎসকেরা।
ইতিমধ্যেই ‘স্পুটনিক ভি’–র প্রস্তুতকারক সংস্থা দ্য গামালেয়া রিসার্চ সেন্টারের দাবি, তাদের তৈরি টিকা প্রয়োগে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকবে ২ বছর। অর্থাৎ টানা ৭৩০ দিন করোনা হওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকবে না। রিসার্চ সেন্টারের প্রধান আলেকজান্ডার গিনস্টবার্গকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা উইয়ন জানিয়েছে, ইবোলা (Ebola) টিকার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই একই পদ্ধতিতে এই টিকা তৈরি করা হয়েছে। পিয়ারলেস হাসপাতালে ‘স্পুটনিক ভি’–র হিউম্যান ট্রায়ালের দায়িত্বে রয়েছেন ডা. শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক। নাইসেডের (NICED) মতো এক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের নিজে থেকে আবেদন করার কোনও জায়গা নেই। ডা. ভৌমিকের কথায়, “আমাদের নিজস্ব একটি হেলথি ভলেন্টিয়ার ডেটাবেস আছে। সেখান থেকে আমরাই ১০০ জনকে পছন্দ করে নেব। তাদেরই টিকা দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে জয়ী স্ত্রী, আনন্দে নার্সিংহোমেই দ্বিতীয়বার বিয়ে সারলেন ব্যক্তি]
রাশিয়ার এই টিকা নিতে গেলে কিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে বলে জানিয়েছেন পিয়ারলেস হাসপাতালের ডিরেক্টর (ক্লিনিকাল রিসার্চ) ডা. শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক। তাঁর কথায়, প্রথম যখন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তারপর ৪৫ দিন কোনও রকম অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় সেবন নিষেধ। যাঁরা টিকা নেবেন তাঁদের শরীরে কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে কি না তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং ওই হাসপাতালের ‘মেডিক্যাল টিম’ তদারকি করবে।
বস্তুত, রাশিয়াই প্রথম দাবি করে, তাঁরা করোনার টিকা ‘স্পুটনিক ভি’ তৈরি করেছে। ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ ছাড়াও, ফাইজার, মডার্না, সিরাম ইনস্টিটিউট–সহ বেশ কিছু টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা দাবি করেছে তাঁদের টিকা যথেষ্ট কার্যকরী। এ বার দেখার কোন টিকা ছাড়পত্র পায়। কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের (ফেজ থ্রি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা নাইসেড (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস)–এ। কলকাতায় প্রথম সেই টিকা নেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।