শুভঙ্কর বসু: রাজ্যে বেজে গিয়েছে ভোটের (WB Election) দামামা। সব রাজনৈতিক দলের প্রচারের ঝাঁজ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মানহানির মামলায় আপাতত স্বস্তিতে BJP নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কুকথার অভিযোগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বর্ধমান আদালতে মানহানির মামলা করেছিলেন অভিষেক। এরপরই পালটা কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। বুধবার সেই মামলার শুনানির পর ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ।
ভোট (WB Election 2021) যত এগোচ্ছে মন্তব্য-পালটা মন্তব্যে সরগরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। শুরুটা অনেক আগেই হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। একাধিক জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সময়ে সময়ে পাল্টা দিয়েছেন অভিষেকও। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাঁর সামাজিক প্রতিষ্ঠা নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অভিষেক। আসলে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে জনসভা হোক কিংবা পথসভা-সর্বত্র ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। প্রথমে নাম না নিলেও পরে নাম করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘তোলাবাজ’ সম্বোধন করেন তিনি। এছাড়াও বিদেশে টাকা পাচার, টেটের নিয়োগে দুর্নীতি-অনিয়ম-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে অভিষেককে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
[আরও পড়ুন: যৌন হেনস্তা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড দত্তপুকুরে, দু’পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে নিহত কিশোর]
আর শুভেন্দুর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানিয়ে শুভেন্দুকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু সেই পথে হাঁটেননি শুভেন্দু। উলটে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়েছেন। এজন্যই এরপর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। দায়ের করেছিলেন মানহানির মামলা। কিন্তু অভিষেকের বিরুদ্ধে পালটা হাইকোর্টে আবেদন জানান শুভেন্দু। আর সেই মামলার শুনানিতেই নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তাই আপাতত স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু।