অভিরূপ দাস: সময়জ্ঞান আর প্রশ্নের মান। দুই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Corporation) কাউন্সিলর এবং মেয়র পারিষদদের আরও যত্নবান হতে বললেন মেয়র এবং চেয়ারপার্সন। বুধবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশন চলাকালীন দুই বরিষ্ঠ নেতার বার্তা, সচেতন হোন। প্রয়োজনে প্রবীণ কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করে নিন। ক্ষতি নেই। কিন্তু পুরসভার মর্যাদা যেন বজায় থাকে।
কলকাতা পুরসভার সঙ্গে জড়িয়ে প্রবাদপ্রতিমদের নাম। রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গণতান্ত্রিক স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল কলকাতা পৌরসংস্থা৷ কলকাতা পুরসভার সিইও ছিলেন খোদ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এহেন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকলে আরও একটু চোখ কান খোলা রাখতে তো হবেই। বুধবার ছিল পুরসভার মাসিক অধিবেশন। সেখানে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) সময়মতো ঢুকলেও অগুনতি কাউন্সিলরদের চেয়ার তখনও খালি। অপেক্ষায় বসে চেয়ারপার্সন মালা রায় (Mala Roy)।যা নিয়ে ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নোবেলজয়ীরা কী বলছেন? এজলাসে বসেই প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
বুধবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে সতর্ক করলেন তিনি। বললেন, ‘‘এমনটা যেন না হয়। অধিবেশন শুরু হওয়ার অন্ততপক্ষে মিনিট পনেরো আগে পুরকক্ষে হাজিরা দেবেন। চেয়ারপার্সন একটা সম্মানীয় আসন। তাঁকে অপেক্ষা করিয়ে রাখা যায় না।’’ মেয়র যখন এ কথা বলছেন, তার কিছুক্ষণ পর অধিবেশনে হাজির হন এক মেয়র পারিষদ। এদিন অধিবেশনে কাউন্সিলরের প্রশ্ন শুনে হতবাক চেয়ারপার্সন মালা রায়। সমস্ত কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা প্রশ্ন রাখছেন। প্রস্তাব রাখছেন। তাঁদের কাছে অনুরোধ করবো একটু ভালো দেখে প্রশ্ন রাখুন। বুদ্ধিদীপ্ত প্রস্তাব রাখুন।’’
মালা রায় দীর্ঘদিন কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যুক্ত। তিনি জানিয়েছেন, “এতদিনে অনেক মননশীল প্রশ্ন শুনেছি। বিশাল এলাকা নিয়ে কলকাতা পুরসভা। অনেক কিছু নিয়ে জিজ্ঞেস করার আছে। প্রশ্নের মানটা দিন দিন ক্রমশ নেমে আসছে।” চেয়ারপার্সনের আক্ষেপ, “নতুন কাউন্সিলরদের শেখানোর জন্য অনেক ওয়র্কশপ হলো। লাভ তো কিছু হল না।”