অভিরূপ দাস: ‘আসি যাই মাইনে পাই। এই মানসিকতা থাকলে চলবে না। কাজ না করলে শোকজ করা হবে।’ শুক্রবার ‘টক টু মেয়রে’ পুর আধিকারিকদের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁদের এভাবেই সতর্ক করলেন ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতার মেয়রকে অভিযোগ জানানোর এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের নানা সমস্যার কথা এদিন শোনেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কিন্তু শেষ অভিযোগের পরই রীতিমতো মেজাজ হারান তিনি। জনৈক নাগরিক জানান, দীর্ঘদিন ধরে পুকুর সংস্কারের কথা বলা হলেও কাজ হয়নি। এমনকী আধিকারিকদের পরিদর্শনের পরও কোনও সুরাহা হয়নি। এই অভিযোগ শুনেই ক্ষুব্ধ ফিরহাদ। কেন কাজ হয়নি, সে প্রশ্ন তুলেই শোকজের হুঁশিয়ারি দেন পুরসভার কর্মীদের।
[আরও পড়ুন: মায়ের মৃত্যুতেও কর্তব্যে অবিচল, মোদির ‘কর্মযোগী’ ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রচার শুরু বিজেপির]
এদিন টক টু মেয়রে (Talk to Mayor) বেহালা থেকে একটি ফোন আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নাগরিক জানান, ৮১১ ডিএস প্রেমিসেস নম্বরে একটি জলাশয় দেখতে পুরসভা থেকে লোক আসেন। কিন্তু তারপরও কাজ এগোয়নি। এরপর কাজ না হওয়ার বিষয়টি মেয়রকে দু’বার জানিয়েও ছিলেন তিনি। সংস্কারের পরও কীভাবে পুকুরের পাড় ভেঙে গেল? কেন জলাশয় নোংরা? এধরনের নালিশ করায় ওই নাগরিককে তৃণমূল নেতাকর্মীদের হুমকির মুখেও পড়তে হয় বলে অভিযোগ। আর এমন অভিযোগ শুনেই ফিরহাদ হাকিমের তোপের মুখে পড়েন পুর আধিকারিকরা।
পুর আধিকারিকদের ভর্ৎসনা করে কলকাতার (Kolkata) মেয়র প্রশ্ন তোলেন, কনট্রাক্টর ঠিক মতো কাজ না করেই কীভাবে চলে গেল? কেন ব্ল্যাকলিস্টেড করা হল না তাকে? এরপরই যোগ করেন, সরকারি টাকা মানুষের টাকা। তা কোনওভাবে নয়ছয় করা যাবে না। আসি যাই মাইনে পাই। এই দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে চলবে না। কাজ না করলে শোকজ করা হবে।