সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোয় দর্শনার্থীদের ভরসা মেট্রো। তা এবারও প্রমাণ হল। তবে এবার সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে ষষ্ঠীতে ৯ লক্ষ ১১ হাজার যাত্রী মেট্রোতে সফর করলেন। সপ্তমীতে দুপুর থেকে উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমশিম খান সুরক্ষাকর্মীরা। প্রায় সব ট্রেনেই ভিড়ের ঠেলায় দরজা বন্ধ হতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। সুরক্ষাকর্মীরা রীতিমতো যাত্রীদের ঠেলে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে তবেই ট্রেন ছাড়ার ব্যবস্থা করেন। সপ্তমী থেকে দশমী দুপুর ১.৪০ মিনিট থেকে মেট্রো পরিষেবা থাকছে। দশমী বাদে তা চলবে ভোর চারটে পর্যন্ত। দশমীর দিন রাত দশটা পর্যন্ত চলবে মেট্রো। ব্যস্ত সময়ের নিরিখে প্রতি পাঁচ থেকে পনেরো মিনিট অন্তর চলছে মেট্রো।
বিহারে নীতীশের উত্তরসূরি হচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর, নয়া সিদ্ধান্তে জল্পনা]
ভিড় সামলাতে প্রতি শিফটে অফিসার-সহ ২৫০ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখা হয়েছে। ৫৬০টি সিসি ক্যামেরায় বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে আরপিএফ। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য স্ক্যানার থেকে মেটাল ডিটেক্টর সক্রিয় রাখা হয়েছে। বিগত বছরে কালীঘাটে ভিড়ের চাপে গেট ভেঙে বিপত্তির বিষয়টি মাথায় রেখে এবার সেখানে ১১টি গেটই খোলা রাখা হয়েছে। চিফ অপারেশন ম্যানেজার সাত্যকী নাথ বলেন, একটি গেট খারাপ হয়েছিল, সেটিকে পুজোর আগেই মেরামত করে ফেলা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা সুবিধামতো তা ব্যবহার করতে পারেন। কালীঘাটে ১২টি টিকিট ইসু মেশিনের ও মেট্রোয় মোট ১৭৯ টিকিট ইসু মেশিনকে সক্রিয় রাখার পাশাপাশি অতিরিক্ত ভিড়ে সমস্যা সামলানোর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে কার্ড টিকিটের ব্যবস্থা রয়েছে বলে সাত্যকীবাবু জানান। তবে পুজোয় নতুন রেক চলছে না। পুরনো রেকে যাতে বিভ্রাট না ঘটে সেজন্য তা আগে থেকেই উপযুক্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপৎকালীন সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ টিম রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটা স্টেশনেই রয়েছেন রক্ষণাবেক্ষণের কর্মী, প্রয়োজনে মোবাইল ও সিওজি ব্যবহার করে কর্মীদের তড়িঘড়ি ডেকে এনে কাজ শুরু করা হবে। পুজোয় বাড়তি ভিড়ের চাপে যাত্রীদের কেউ অসুস্থ হলে মেট্রোতে প্রাথমিক চিকিৎসা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেট্রোর চিফ মেডিক্যাল অফিসার মিহির চৌধুরি জানান, মেট্রোর গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি স্টেশনে মেডিক্যাল টিম, চিকিৎসার সব সরঞ্জাম, অক্সিজেন, ওষুধ মজুত করা হয়েছে।
[পুজোয় কলকাতায় আসছেন না, জানালেন রাহুল গান্ধী]