নব্যেন্দু হাজরা: ভবিষ্যতে প্রয়োজনে দেড় মিনিটের ব্যবধানে ছুটতে পারে মেট্রো। বদল হবে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর সিগন্যালিং সিস্টেম। যাতে খুব কম সময়ের ব্যবধানে মেট্রো চালানো সম্ভব হবে। আবার এবার সমস্ত মেট্রো স্টেশনে বিনামূল্যে মিলবে ওয়াই-ফাই পরিষেবাও। এমনই খবর মেট্রো সূত্রে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ধাঁচে এই মেট্রোতেও চালু হবে কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম (সিবিটিসি)। যার ফলে দুই মেট্রোর মধ্যে সবসময় একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব সবসময় বজায় থাকবে। ৯০ সেকেন্ডের ব্যবধানে একটির পিছনে অন্য একটি ট্রেন একই দূরত্ব বজায় রেখে ছুটবে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটবে না। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। আগ্রহী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হলে সিগন্যাল বদলের কাজ শুরু হবে। তাছাড়া নতুন যে মেধা রেক এই লাইনে ছুটছে সেগুলোও সিবিটিসি সিগন্যালিংয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে নয়া সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হলে এই রেকের ছুটতে কোনও অসুবিধা হবে না।
[আরও পড়ুন: দুই রাজ্যের রায় LIVE: হিমাচলে এগিয়ে কংগ্রেস]
মেট্রোর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ইস্ট-ওয়েস্ট, জোকা-ধর্মতলা, নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট রুটগুলো পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে এক ধাক্কায় পাতালপথে যাত্রী অনেকটাই বেড়ে যাবে। সেই সময় দুই মেট্রোর ব্যবধান কমাতে হবে। তাই এখন থেকেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে। তবে দেড় মিনিট অন্তরই যে এই লাইনে মেট্রো ছুটবে তেমনটা নয়। প্রয়োজনে যাতে ছোটানো যায়, তেমন প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে।
নয়া এই প্রযুক্তিতে দুর্ঘটনা ঘটার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় কম সময়ের ব্যবধানে ট্রেন চালাতে ‘কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম’ (সিবিটিসি) বসানো হয়েছে। সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত অংশে ওই প্রযুক্তি রয়েছে। বাকি অংশেও ট্রেন চললে এই একই পদ্ধতি থাকবে। প্ল্যাটফর্মে ভিড় যত বাড়বে সেই অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব। বর্তমানে ব্যস্ত সময়ে পাঁচ মিনিট অন্তর ছোটে মেট্রো। বাকি সময়ে ছয়, সাত এবং দশ মিনিট অন্তর। সেই সময়ই আরও কমানো যাবে। এখন যে সিগন্যালিং ব্যবস্থা চলে, তা অটোমেটিক হলেও অত্যাধুনিক সফটওয়্যার তাতে নেই। আর তা বসানোও যাবে না। ফলে পুরো সিগন্যালিং সিস্টেমটাই বদলাতে হবে। মেট্রো রেলের এক আধিকারিক জানান, এটা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ কাজ। তবে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নয়া পদ্ধতিতেই ভবিষ্যতে মেট্রো চলবে। আর দুই মেট্রোর ব্যবধান কমলে যাত্রীদেরও অনেক সুবিধা হবে। মেট্রোর জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। যখন তখন মেট্রো বাতিলও সম্ভব হবে না।
[আরও পড়ুন: ‘সংসদে বিপজ্জনক বিল আসছে, রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব হবে’, দিল্লিতে আশঙ্কা মমতার]
এবার সমস্ত মেট্রো স্টেশনে বিনামূল্যে মিলবে ওয়াই-ফাই পরিষেবা। যার ফলে মেট্রোচত্বরে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা। একথা জানান মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ আরোরা। তিনি বলেন, “শীঘ্রই মেট্রো স্টেশনে ওয়াইফাইয়ের পরিষেবা যাত্রীরা পাবেন। তাছাড়াও তাঁদের জন্য বিনোদন এবং তথ্যমূলক অনেক কিছু ব্যবস্থা থাকবে।” এবার থেকে যাত্রীরা নতুন ব্র্যান্ডিং করা টোকেন পাবেন। ২ লক্ষ নতুন টোকেন এদিন ছাড়া হল। জোকা-তারাতলা মেট্রো প্রসঙ্গে জিএম বলেন, “১০ তারিখের মধ্যে আমরা সবদিক থেকে প্রস্তুত হয়ে যাব। দিল্লি সংকেত দিলেই তা চালু হবে। তবে নিউ গড়িয়া-রুবি সিআরএসের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।”