নব্যেন্দু হাজরা: প্লাবন ঠেকাতে গোড়াতেই বঁাধ। পুজোমুখী কলকাতায় ভিড়ের চাপ সামলাতে প্রয়োজনে প্রধান গেটেই শাটার ফেলবে মেট্রো (Kolkata Metro)। কালীঘাট, এমজি রোড, দমদম, শোভাবাজার, যতীন দাস পার্ক, নজরুলের মতো স্টেশনগুলোতে ভিড় মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে প্রধান গেটই বন্ধ করা হতে পারে। প্ল্যাটফর্ম ফঁাকা হলে ফের ঢুকতে দেওয়া হবে যাত্রীদের।
পুজো শপিংয়েই দিনে প্রায় দেড় লাখ যাত্রী বেড়েছে মেট্রোয়। পুজোর মুখে সাড়ে ছ’লাখ ছুঁইছুঁই যাত্রী। যা মাসখানেক আগেও পঁাচ লাখের আশপাশে ছিল। আগামীকাল-পরশু তা আরও অনেক বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই ভিড়ের চাপ সামাল দিতে এবার প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের পথে হঁাটতে চলেছে তারা। মেট্রোর সিদ্ধান্ত প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভিড় খুব বেশি থাকলে স্মার্টগেট সাময়িক বন্ধ করা হবে। যাতে আর যাত্রী প্ল্যাটফর্মে নামতে না পারে। পাতালে জমাট বঁাধা ভিড় হালকা হলে তবেই নতুন যাত্রীদের প্রবেশাধিকার মিলবে।
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে চিতাদের ‘রক্ষাকর্তা’ এক কুকুর, শুরু জার্মান শেফার্ড ‘ইলু’র প্রশিক্ষণ]
কিন্তু যঁারা ঢুকতে পারবেন তঁারা তো টিকিট কাউন্টারের বাইরে ভিড় জমাবেন। সেক্ষেত্রে কী হবে? সে দাওয়াইও রেখেছে মেট্রো। কাউন্টারের সামনে ভিড় বাড়লে যাত্রীদের প্রধান গেটেই আটকানো হবে। মেট্রোর সীমানায় প্রবেশই করানো হবে না। আগামীকাল চতুর্থী থেকেই ভিড়ের বহর দেখে নয়া নিয়ম কার্যকর হতে পারে।
শুক্র ও শনিবার অন্তিম স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১১টা ১০ পর্যন্ত। অন্যদিকে সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত বেলা ১টা থেকে পরদিন ভোর চারটে পর্যন্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে। মেট্রোর রেকে কোনওরকম যান্ত্রিক বিভ্রাট এড়াতে ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে সর্বক্ষণের জন্য টেকনিক্যাল স্টাফ রাখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদে মণ্ডপে ঢুকে দুর্গামূর্তি ভাঙচুর ২ বোরখা পরিহিত মহিলার]
দমদম, শোভাবাজার, শ্যামবাজার, এমজি রোড, কালীঘাট, টাালিগঞ্জ, মাস্টারদা সূর্য সেন, গীতাঞ্জলি, কবি সুভাষে থাকবেন তঁারা। অন্যদিকে পরিস্থিতি বুঝে সেন্ট্রাল এবং গিরিশ পার্ক স্টেশনেও লোক থাকবেন। যাত্রী নিরাপত্তায় সাদা পোশাকের পুলিশ, মহিলা পুলিশ ঘুরবে ট্রেনে। পাশাপাশি মেট্রোর তরফে যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে আরও সচেতন হতে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কোনওভাবেই জোর করে মেট্রোয় উঠতে যাবেন না। এসকালেটরে ওঠার সময় সতর্ক হতেও বলা হচ্ছে।