অভিরূপ দাস: পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন শুক্রবার। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই কাটল অভিমান। শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) ফোন পেয়ে মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং বললেন, ‘‘কোনও দ্বন্দ্ব নেই। ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে।’’
জল নিয়ে যে মান-অভিমানের শুরু। জলের তোড়েই মিটে গেল তা। দ্রুত যে মিটবে তার আঁচ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh)। জমা জল নিয়ে মন কষাকষি। শনিবার সকালেই কুণাল ঘোষ বলেন, মেয়র আর তারক সিংয়ের বিবাদও জলের মতো বিষয়। জমা জলের মতোই দ্রুত নেমে যাবে তা। তার কথাই সত্যি হল বেলায়।
[আরও পড়ুন: পুলিশি হেফাজতে যুবকের রহস্যমৃত্যু, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র হাওড়ার পাঁচলা]
ঘটনার শুরু শুক্রবার। টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে জমা জল নিয়ে অভিযোগ আসতেই তাল কেটেছিল। যেখান থেকে অভিযোগ আসে, তার কাছেই আগের দিন বিকেলে নিজের আত্মীয়ের মৃত্যুতে গিয়েছিলেন মেয়র। পৌঁছে দেখেন জল থৈ থৈ। অভিযোগ তোলেন, ‘‘জল জমা নিয়ে ভুল রিপোর্ট আসছে। আমাকেই গতকাল বলা হল, খিদিরপুরে কোথাও জল জমে নেই। এদিকে আমার ভাই কাল মারা গিয়েছে। মোমিনপুরে পিসির বাড়িতে গিয়ে দেখি সেখানেই জল থৈ থৈ। অবস্থা এমনই মৃতদেহ মাটিতে রাখা যাচ্ছে না।’’ মেয়রকে এও বলতে শোনা যায়, ‘‘রোজ তারক সিং হোয়াটসঅ্যাপ করে বলছে কোত্থাও জল জমে নেই। খিদিরপুর গিয়ে আমি নিজে জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ।’’ ঘরে তখন পুর কমিশনার, একাধিক বিভাগের ডিজি-সহ একাধিক ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত। ভরা সভায় মেয়রের কথায় আহত হন নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং (Tarak Singh)।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার: কোন এক্তিয়ারে অনুব্রতর মামলা দিল্লিতে? বিচারককে বোঝাতে ব্যর্থ ইডি আইনজীবী]
শুক্রবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রয়োজনে পদত্যাগ করব। শনিবারই মেয়র পারিষদকে ফোন করেন ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, দু’জনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তারক সিং জানিয়েছেন, মেয়রকে আমি বলেছি প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল। তা নামতে একটু তো সময় লাগবেই। জমা জলের জন্য অল্প সময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টিকেই দায়ী করেছেন তারক সিং। এদিন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও মেয়র পারিষদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন, যা বৃষ্টি হয়েছে জল নামতে সময় দিতেই হবে। শনিবারও শহরজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে উত্তর কলকাতার দক্ষিণ দমদম এলাকার বীরপাড়া পাম্পিং স্টেশন এলাকায়। দুপুর দু’টো পর্যন্ত সেখানে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার পামার ব্রিজ পাম্পিং স্টেশন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৭০ মিলিমিটার।