সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আম্বেদকর ইস্যুতে রণক্ষেত্র এন্টালি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি শুরু হয়। দুপক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মাথা ফাটল পুলিশের।
প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে হামলা বিজেপি যুব মোর্চার। ইটবৃষ্টি, বোতল ছোড়া হয় মিছিল থেকে। খবর পেয়েই কংগ্রেসের কর্মীরা অফিস থেকে নেমে এসে পালটা তাড়া করে বিজেপি কর্মীদের। মারামারি, সংঘর্ষে এক পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে যায়। অভিযোগ, বিজেপির ছোড়া ইটের আঘাতে জখম হন পুলিশকর্মী। সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তর ঘেরাও করে হামলা করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা কমিটি ও যুব মোর্চার। সেই খবর ফাঁস হয়ে যায়।
বিজেপির একটি মিছিল মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে প্রদেশ দপ্তরের সামনে দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের আসার আগেই পুলিশের একটা বড় টিম সেখানে চলে আসে। পুলিশের কাছেও সংঘর্ষের অনুমান ছিল বলে দাবি কংগ্রেসের। শেষে তাড়া করে বিজেপি কর্মীদের মৌলালী পর্যন্ত দৌড় করান কংগ্রেস কর্মীরা। ধুন্ধুমার বেধে যায়। তার পর কংগ্রেসের নির্দিষ্ট কর্মসূচি ছিল মৌলালিতেই। সেখানে অমিত শাহের কুশপুতুল দাহ করে কংগ্রেস।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্ক চলাকালীন শাহ বলেন, “এখন এক ফ্যাশন হয়েছে- আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর। এতবার যদি ভগবানের নাম নিত তব সাতজন্ম স্বর্গবাস হয়ে যেত।” সঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “১০০ বার ওর (বিআর আম্বেদকর) নাম নিলেও কিন্তু ওঁকে নিয়ে আপনাদের কী আবেগ ছিল? তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতিদের প্রতি সরকারের আচরণ নিয়ে খুশি ছিলেন না আম্বেদকর।” শাহের ‘ফ্যাশন’ মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধী শিবির।
বৃহস্পতিবার সকালে সংসদের মকর দ্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন কংগ্রেস-সহ বিরোধী সাংসদরা। বিজেপি সাংসদরা সেসময় সংসদে প্রবেশ করতে চাইলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। দুই শিবিরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হাতাহাতির রূপ নেয়। হাতাহাতিতে রক্ত ঝরে বালাসোরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সারেঙ্গীর। তাঁর দাবি, হাতাহাতির মধ্যে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এক সাংসদকে ধাক্কা মারেন। সেই সাংসদ এসে তাঁর গায়ের উপর পড়ে যান। এই ঘটনার আঁচে উত্তপ্ত এন্টালি।