অর্ণব আইচ: কলকাতা (Kolkata) থেকে চোরাই মোবাইল কিনে বাংলাদেশে মোটা দামে বিক্রির ছক। এক বাংলাদেশি–সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হল ১০৭টি মোবাইল, যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো নতুন মোবাইলও রয়েছে। সেগুলো প্যাকেট–সহ উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও ২৫ হাজার টাকাও পাওয়া গিয়েছে অভিযুক্তদের কাছ থেকে। এমনকী যে বাংলাদেশি (Bangladesh) যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তার কাছ থেকে কোনও পাসপোর্ট (Passport) বা বৈধ নথিপত্র পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মধ্য কলকাতার তালতলা থানা এলাকার আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে মহম্মদ জাহাঙ্গিরের বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদে। অন্য ধৃত আবদুল গফফর বিশ্বাস নদিয়া জেলার গাংনাপুরের বাসিন্দা।
[আরও পড়ুন: ‘নিজে নিরাপদে থেকে মানুষকে বিপদে ফেলছেন’, ভারচুয়াল উদ্বোধন নিয়ে মমতাকে খোঁচা সুজনের]
তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন বাড়ি ও দোকান থেকে প্রথমে মোবাইলগুলো চুরি করে চোর বা ছিনতাইবাজরা। তারা ওই ফোনগুলো বিক্রি করে শহরের কিছু রিসিভারের কাছে। এরপর আবদুল গফফরের মতো এজেন্টরা ওই মোবাইলগুলো কিনে নেয়। সম্প্রতি মহম্মদ জাহাঙ্গির বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে এই রাজ্যে ঢোকে। চোরাই মোবাইলের কারবার করার জন্য কলকাতায় আসে। আব্দুলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তার কাছ থেকে মোবাইলগুলো নেওয়ার সময় দুজনই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। এগুলি নিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশে পাচার করার ছক ছিল জাহাঙ্গিরের।আসলে এই মোবাইলগুলো বাংলাদেশে চড়া দামে বিক্রি হয়। তাদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে থাকা অন্যদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।