সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষশেষের দিনই কলকাতার পুলিশ কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিনীত গোয়েল (Binit Goyal)। দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পথে নেমে নিজের দায়িত্ব সামলালেন তিনি। সতর্কতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বর্ষশেষের সন্ধেয় পার্ক স্ট্রিটে আদৌ ভিড় হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখলেন। সকলকে মাস্ক পরার অনুরোধও জানালেন।
২৫ ডিসেম্বরের আগে থেকেই পার্ক স্ট্রিট আলোয় আলোয় সেজে ওঠে। তাই উৎসবের মরশুমে বহু মানুষ ভিড় জমান শহরের প্রাণকেন্দ্রে। তিলধারণেরও যেন জায়গা থাকে। চলতি বছর ক্রিসমাস ইভে সে দৃশ্যের সাক্ষী ছিল তিলোত্তমা। বড়দিনের মতো একইরকম ভিড় বর্ষশেষের রাতেও হওয়ার আশঙ্কা ছিলই। কলকাতা পুলিশের তরফে তাই আগেভাগেই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: বড় চমক ছাড়াই ৩ পুরসভায় প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, সল্টলেকে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে প্রাক্তন মেয়র পারিষদ]
তবে উৎসবের মরশুমেই ওমিক্রনের দাপট। হু হু করে বাড়ছে করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও বর্ষশেষের হুল্লোড়ের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ জারি হয়নি। তবে সুকৌশলে পার্ক স্ট্রিটে ভিড় কমানোর অভিনব কৌশল নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পার্ক স্ট্রিট আজ আর ‘ওয়াকিং স্ট্রিট’ নয়। ফুটপাথ ছাড়া অবাধে পায়ে হেঁটে পার্ক স্ট্রিটে ঘুরতে পারছেন না কেউই। কারণ, পার্ক স্ট্রিটে অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক যানচলাচল। নয়া নির্দেশিকা কেউ মানছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে পথে মোতায়েন অন্তত ৩ হাজার পুলিশকর্মী। ডিসি পদমর্যাদার পুলিশকর্মীরাও রয়েছেন।
ওমিক্রনের মাঝে বর্ষশেষের হুল্লোড়কে নিয়ন্ত্রণ করাই যেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আদৌ পার্ক স্ট্রিটে ভিড় হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সন্ধেয় নিজেই পথে বেরিয়ে পড়েন তিনি। পার্ক স্ট্রিট চত্বরটি ঘুরে দেখেন। পথচারীদের মুখে মাস্ক রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখেন তিনি। যাঁদের কাছে মাস্ক নেই, তাঁদের নিজে হাতে মাস্ক বিলি করেন।