অর্ণব আইচ: আয়কর দপ্তরের আধিকারিক সেজে সোনা লুঠ। গোটা ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গেল, সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভূত। পুলিশ কনস্টেবলের অঙ্গুলি হেলনেই লুঠ হয়েছে ১২ লাখের সোনা। চিৎপুর এলাকার সোনা লুঠের ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের এক কনস্টেবলের নাম। শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হদিশ মিলেছে আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতী চক্রের। এই চক্রের বাকিদের খোঁজে জেরা শুরু করছে পুলিশ।
গত বছর নভেম্বর মাসের ১১ তারিখ বিকেলে চিৎপুরের গয়নার দোকানের কর্মী শেখ হাসিবুল আলি সোনা নিয়ে ফিরছিলেন। হঠাৎই তাঁর পথ আটকায় জনা পাঁচেক ব্যক্তি। নিজেদের আয়কর দপ্তরের আধিকারিক পরিচয় দেয় তারা। হাসিবুলের তল্লাশি শুরু করে। তার কাছ থেকে প্রায় ৩০০ গ্রাম সোনা মেলে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা। সেই সোনা এবং হাসিবুলের মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয় ওই পাঁচজন। সঙ্গে সঙ্গে চিৎপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। তদন্তে নামে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: আতঙ্ক রুখতে তৎপর সরকার, করোনো ভাইরাসের পরীক্ষা এবার বেলেঘাটার নাইসেডে]
শেষপর্যন্ত এই ঘটনায় দিন তিনেক আগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাম শান্তনু কারার, চন্দন রাউত, মনোজিৎ মণ্ডল এবং শেখ আক্রম। এর মধ্যে আক্রম পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। বাকি তিনজন হাওড়ার বাসিন্দা। কিন্ত তারা কেন চিৎপুর এলাকায় লুঠ করতে এল, তা নিয়ে পুলিশের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়। শুরু হয় জেরা। আর সেই জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
[আরও পড়ুন: একধাক্কায় তাপমাত্রার পারদ নামল ২ ডিগ্রি, মেঘ কাটলেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা কলকাতায়]
ধৃত চারজন জানায়, গোটা ঘটনার ছক কষেছিল এক পুলিশ কর্তা। নাম প্রণয় রায়। সে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত প্রণয় আদপে কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের কনস্টেবল। শুক্রবার তাকে পাকড়াও করে কলকাতা পুলিশ। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের বাকিদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
The post আয়কর কর্তার পরিচয় দিয়ে সোনা লুঠ, ধৃত কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল-সহ চার appeared first on Sangbad Pratidin.