অর্ণব আইচ: বাঁকুড়ার DYFI নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যু ঘটনায় তদন্তে তৈরি হল ‘সিট’। বুধবার লালবাজারে (Lalbazar) গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধর শর্মা জানান, ওই যুবকের মৃত্যুতে সাতজনের একটি তদন্তকারী দল তৈরি হয়েছে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওই যুবক কলকাতায় (Kolkata) আসেন। যোগ দেন নবান্ন (Nabanna) অভিযানে। নিউ মার্কেট এলাকার মির্জা গালিব স্ট্রিটের সিসিটিভি ও ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, তিনি রাস্তার একপাশে পড়ে রয়েছেন। কিন্তু তিনি সেখানে কীভাবে এলেন, তা নিয়ে ধন্দে ‘সিট’এর সদস্যরা। তাঁকে সেখান থেকেই অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়। ওই এলাকায় যাঁদের দোকান রয়েছে ও যাঁরা তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে নিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ১১ থেকে ১৩ তারিখ তিনি পার্ক স্ট্রিটের যে ক্লিনিকটিতে ভর্তি ছিলেন, সেই ক্লিনিকের চিকিৎসকরা কেন পুলিশকে সেই তথ্য দেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তথ্য জানতে ডা. ফুয়াদ হালিমকে তলব করা হয়। ময়নাতদন্তে প্রাথমিকভাবে এমন কিছু পাওয়া যায়নি, যাতে প্রমাণ মেলে যে, লাঠির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবনেতার। সেই কারণে কী কী অসুস্থতায় তিনি ভুগছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দাপ্রধানের অধীনে ‘সিট’এর সদস্যরা এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছেন। এই ব্যাপারে আরও কয়েকজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
[আরও পড়ুন: ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া ভারতীয় নৌসেনার, থাকছে চিনও]
এদিকে, নিখোঁজ ডিওয়াইএফআই কর্মী দীপককুমার পাঁজার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দরা। পাঁশকুড়ার ওই ডিওয়াইএফআই কর্মী কলকাতায় নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে এসেছিলেন। কলকাতায় আসার পর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। এই ব্যাপারে নিউ মার্কেট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। সিসিটিভির ফুটেজে গোয়েন্দারা তাঁকে বিকেল তিনটে নাগাদ ওই এলাকায় ঘুরতে দেখেছেন। কিন্তু তার পর আর তাঁকে দেখা যায়নি। তাঁর সন্ধানে পুলিশ নিউ মার্কেট, তালতলা ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।
অন্যদিকে, তালতলায় পুলিশ অফিসারকে নিগ্রহ ও মারধরের অভিযোগে ধৃত ডিওয়াইএফআই কর্মী দীপঙ্কর সেনগুপ্তকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনার অভিযুক্ত বাকিদেরও সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।