অর্ণব আইচ : বলছি শোন বারংবার, পুজো বলে নেই কোনও ছাড়। ক্যাপশনটির নিচে একটি কার্টুন। তাতে একটি পরিবার বাইক নিয়ে। কারও মাথায় নেই হেলমেট। তাঁদের শাসন করছেন পুলিশকর্মী। অথবা, সুজয়দা পুঁচকিকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বের হয় হেলমেট পরেই।
পুজোর সময় শহরে চলবে না হেলমেট ছাড়া বাইক চালিয়ে বেলেল্লাপনা। তাই পুজো শুরুর আগেই শহরবাসীকে সতর্ক করছে পুলিশ। হেলমেট না থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটলেই পুজো মাটি। পুজোর সময় যাতে দুর্ঘটনার জন্য কাউকেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে না হয়, তার জন্যই এই সতর্কতা বলে দাবি লালবাজারের।
[উল্টোডাঙায় গৃহবধূ অর্চনা হত্যারহস্যে নয়া মোড়, চতুর্থ পুরুষসঙ্গী কে?]
পুলিশের মতে, পুজোর আগে থেকেই বহু তরুণ পরিকল্পনা করেন বাইক নিয়ে বের হওয়ার। রাতে বাইকে করে ঘুরে ঠাকুর দেখাও পছন্দ করেন অনেকে। ট্রাফিক আইন মেনে ঠাকুর দেখলে কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু অনেকেরই বেশি রাত বা ভোররাতের দিকে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা থাকে। কেউ পরতে চান না হেলমেট। আবার কেউ বা বেপরোয়া গতিতে চালান বাইক। আবার পুজোর সময় অনেকেই মদ্যপান করে তীব্র গতিতে বাইক চালান। পুজোর রাতে বাইপাস বা ফাঁকা রাস্তায় বাইক রেসও করার চেষ্টা করেন বহু তরুণ ও যুবক। ট্রাফিক নিয়ম না মানার ফলে যে কোনও সময়েই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, পুজোর সময় ট্রাফিক পুলিশও সারা রাত ডিউটিতে থাকে। ওই সময় কোনও দুর্ঘটনা যাতে এড়ানো যায়, তাই এখন থেকেই বিভিন্নভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের পুজো গাইড ম্যাপেও করা হয়েছে প্রচার। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও সতর্ক করা হচ্ছে শহরবাসীকে, যাতে তাঁরা বাইক ও গাড়ি চালানোর সময় আইন মানেন। কারণ, পুজোর সময় ট্রাফিক আইন ভাঙলে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। পুজোর সময় বাইক ও স্কুটার আরোহীরা হেলমেট না পরলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্রাফিক আইন অনুযায়ী জরিমানা করা হবে তাঁদের। এখন থেকেই মদ্যপান করে গাড়ি ও বাইক না চালানোর বিষয়েও সতর্ক করা হচ্ছে। পুজোর সময় গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় থাকবে পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকার পানশালায়। তাই শহরের বেশ কিছু জায়গায় ব্রেথ অ্যানালাইজার নিয়ে হাজির থাকবেন পুলিশ আধিকারিকরা। কেউ মদ্যপান করে বাইক বা গাড়ি চালালেই তাঁকে আটক করা হবে। মদ্যপান করে কেউ মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখবেন, এমনটা হতে দেবে না পুলিশ। পুজোর সময় ফাঁকা রাস্তাগুলিতেও থাকছে পুলিশের টহল। বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানো বা বাইক রেস রোখার জন্য নেওয়া হচ্ছে এই ব্যবস্থা। অতিরিক্ত গতিতে বাইক বা গাড়ি চললে তা ধরা পড়বে ‘স্পিড রাডার গান’-এ। ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ টিম বেপরোয়া বাইক আরোহী ও চালকদের ধরার জন্য তৈরি থাকছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[ফের শহরের স্কুলে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় বিনোদিনী গার্লস]
The post পুজোতেও নেই ছাড়, হেলমেটহীন বেপরোয়া বাইক আরোহীদের সতর্ক করল পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.