অর্ণব আইচ: সেনার পোশাক, টুপিতে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন যুবক-যুবতী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার ঘটনায় এবার গ্রেপ্তারির নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইট সোসাইটি’ নামে যে সংস্থার তরফে তাঁরা যাদবপুরে ঢুকেছিল, সেই সংস্থার কর্ণধার কাজি সাদিক হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনার তদন্তে কাজি সাদিক হোসেনকে শুক্রবার যাদবপুর থানায় (Jadavpur PS) তলব করে নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু ২ দিন পরও তিনি থানায় হাজিরা না দেওয়ায় এবার গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেওয়া হল।
গত বুধবার সেনার পোশাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েছিল একদল যুবক-যুবতী। তাঁরা নিজেদের একবার রাষ্ট্র সংঘের (UN) বিশ্ব শান্তিরক্ষা বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবী, একবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাহিনী বলে দাবি করে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে যাদবপুরের র্যাগিং সংস্কৃতি শেষ করতে চায় বলেও দাবি করে তারা। পরে জানা যায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা বিশ্ব শান্তিরক্ষা বাহিনী দূর অস্ত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য তারা। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, সেনাবাহিনীর (Indian Army) সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সেনার পোশাক, ‘ভারতীয় সেনা’ লেখা টুপি এল তাদের কাছে? কীভাবেই বা ক্যাম্পাসে ঢুকল? এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
[আরও পড়ুন: রাজ্য দিবস ও রাজ্য সংগীত নিয়ে আলোচনা বিধানসভাতেও! অধিবেশনের শেষদিন আসবে প্রস্তাব]
সেনার পোশাক ব্যবহার করে এমন একটি ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও উপাচার্যকে (VC) ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। পাশাপাশি তদন্তে ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইট সোসাইটি’র নাম উঠে আসায় সেখানকার ‘স্বঘোষিত’ কর্ণধার কাজী সাদিক হোসেনকে থানায় হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠানো হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু তিনি সেই নোটিস উপেক্ষা করে ২ দিন থানায় হাজিরা না দেওয়ায় শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেয় কলকাতা পুলিশ।