অর্ণব আইচ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়িতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ধৃত যুবক হাফিজুল মোল্লাকে সোমবার ফের তোলা হল আদালতে। আদৌ কি হাফিজুলই ঢুকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে? নিশ্চিত হতে এবার আদালতের কাছে GAIT প্যাটার্ন প্রযুক্তি আবেদন করল পুলিশ। তবে আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন ধৃত হাফিজুল।
চলতি ২ তারিখ গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের (Kalighat) বাসভবনে নিরাপত্তারক্ষীদের অজান্তে প্রবেশ করেন এক যুবক। রবিবার সকালে তাকে একটি গাড়ির পিছনে বসে থাকতে দেখা যায়। এরপরই সতর্ক হয়ে পুলিশ হাফিজুল মোল্লা নামে একজনকে আটক করে। দুপুর সোয়া দু’টোয় রাজ্যের ডিরেক্টরেট অফ সিকিউরিটির এক ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকের করা অভিযোগের ভিত্তিতে হাফিজুল মোল্লাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৮ ধারায় কাউকে আঘাত বা হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও বাড়িতে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কালীঘাট থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন : ফুরিয়েছে চুক্তির মেয়াদ, কলকাতা বিমানবন্দরের পিক-আপ জোনে ‘নো-এন্ট্রি’ উবেরের!]
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অনুপ্রবেশের আগে কমপক্ষে সাত-আটবার রেইকি করেছিলেন হাফিজুল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকার ছোটদের চকোলেট, কোল্ডড্রিংঙ্কস খাইয়ে খবর বের করারও চেষ্টা করেছিলেন তিনি, এমনটাও জানা যায়। তবে রাতের অন্ধকারে যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকেছিলেন তিনি কি হাফিজুল্লাই? কীভাবে? জানতে সোমবার গেট প্যাটার্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের আবেদন জানাল পুলিশ।
কিন্তু কী এই পদ্ধতি? ঘটনার রাতের যে সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের কাছে রয়েছে, তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে হাফিজুলের চলা-ফেরা, অঙ্গভঙ্গি। অর্থাৎ ঘটনার রাতের সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে, তার সঙ্গে মেলানো হবে হাফিজুলের অঙ্গভঙ্গি। তাতেই স্পষ্ট হবে গোটা বিষয়টি। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার কিনারা করতে ৩০০ জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ১২০ বি ধারায় ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করা হয়েছে।