অর্ণব আইচ: রাজভবন (Raj Bhavan) কাণ্ডে ফের নতুন মোড়। রাজভবনের আরও চার কর্মচারীকে নোটিশ দিয়ে তলব করল কলকাতা পুলিশ। এদিকে, রাজভবন কাণ্ডে অভিযুক্তরা ইমেল পাঠিয়ে সাত থেকে দশদিন সময় চেয়েছেন পুলিশের কাছে। যদিও হাজিরা না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার জন্যও আদালতে আবেদন জানাতে পারে লালবাজার।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, রাজভবনের দোতলায় অভিযোগকারিণী মহিলা কর্মচারীকে জোর করে আটকে রেখে তাঁকে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে রাজভবনেরই তিন কর্মচারী রাজ্যপালের ওএসডি সন্দীপ সিং রাজপুত, কুসুম ছেত্রী ও পিওন শান্তলালের বিরুদ্ধে। রবিবার পুলিশের তলবে হাজিরা না দেওয়ায় ফের মঙ্গলবার তাঁদের তলব করেছে। এর মধ্যেই রাজভবনের আরও চার কর্মচারীকে ১৬০ ধারায় নোটিশ দিয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁরা হচ্ছেন মুন্না চৌধুরি, ডা. এম সাঁতরা, শিবম শর্মা ও গৌতম দাস।
[আরও পড়ুন: ছোটবেলায় RSS সদস্য, সংগঠনেই ফিরতে চান! অবসরকালে জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি]
গত শুক্রবার অভিযোগকারিণী ব্যাঙ্কশাল আদালতে গিয়ে গোপন জবানবন্দি দেন। তাতে তিনি কয়েকজন সহকর্মীর নামও বলেন। এ ছাড়াও তাঁকে যাঁরা কাঁদতে কাঁদতে রাজভবনের দোতলার সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখেছিলেন, তাঁদেরও পুলিশ শনাক্ত করে। জানা গিয়েছে, একতলায় নেমে অভিযোগকারিণী আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে এক বিশেষ সচিবের দপ্তরে যান। সেখানে এক চিকিৎসক তাঁকে আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় দেখেন। তিনি তাঁর চিকিৎসাও করেন। এ ছাড়াও ওই অফিসে আরও কয়েকজন আধিকারিক ছিলেন। অভিযোগকারিণীর বয়ান যাচাই করতেই ওই চারজন কর্মচারীকে নতুন করে নোটিশ দিয়ে তলব করা হয়েছে।
এদিকে, রবিবার তলবে সাড়া না দিয়ে সন্দীপ সিং রাজপুত কলকাতা পুলিশকে মেল পাঠিয়ে জানিয়েছেন যে, তিনি এখন কলকাতার বাইরে। তাই হাজিরা দিতে পারছেন না। তিনি হাজিরার জন্য দশ দিন সময় চেয়েছেন। এ ছাড়াও কুসুম ছেত্রী ও পিওন শান্ত লাল মেল পাঠিয়ে পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তাঁরা এখনই হাজিরা দিতে পারছেন না। তাঁরা দু’জনই সাতদিন সময় চেয়েছেন। এ ছাড়াও তিন অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের কাছে এফআইআর-এর কপি চেয়েছেন। যদিও পুলিশের দাবি, কপি অভিযোগকারী পেতে পারেন। অভিযুক্তদের পুলিশ কপি দিতে বাধ্য নয়। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার তাঁরা তলবে সাড়া না দিলে ফের তিন অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠানো হতে পারে। তাতেও তাঁরা সাড়া না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আদালতে আবেদন করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।