অর্ণব আইচ: পুলিশের উপর হামলা রুখতে আরও তৎপর লালবাজার (Lalbazar)। আবার যাতে কোনও পুলিশকর্মীও শহরবাসীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করেন, সেদিকেও বিশেষ নজর পুলিশকর্তাদের। তাই আরও ৭০০টি ‘বডি ক্যামেরা’ কিনছে কলকাতা পুলিশ। ডিউটির সময় যাতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশকর্মী বডি ক্যামেরা পরে কাজ করেন, সেই ব্যাপারে লালবাজার আরও জোর দিচ্ছে।
এবার ভাঙড় আসছে কলকাতা পুলিশের আওতায়। আটটি থানা ছাড়াও নতুন একটি ট্রাফিক গার্ডের পুলিশকর্মী ও পুলিশ আধিকারিকরা নিয়ন্ত্রণ করবেন ট্রাফিক। বাসন্তী হাইওয়ে থেকে শুরু করে ভাঙড় অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ তৈরি করছে স্ট্র্যাটেজি। বসানো হবে স্পিড সাইনেজ। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চললেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে গাড়ির চালকদের। এ ছাড়াও রাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশকর্মীরাও সামলাবেন ট্রাফিক।
[আরও পড়ুন: অবসরের পরও ফ্ল্যাট খালি না করলে পেনশন বন্ধ হবে পুরকর্মীদের, হুঁশিয়ারি মেয়রের]
লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, ভাঙড় অঞ্চলের বাসিন্দারা জেলা পুলিশের আওতায় থাকার ফলে কলকাতার ট্রাফিক নিয়ে কড়াকড়ির ব্যাপারটি তাঁদের অনেকেরই অজানা। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়াকড়ি ছাড়াও মদ্যপ চালক ধরতেও ভাঙড় অঞ্চলে শুরু হবে নাকা চেকিং। কলকাতার বিভিন্ন জায়গার মতো ভাঙড়েও মদ্যপ গাড়ি ও বাইক চালকদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। সেই ক্ষেত্রে পুলিশের সঙ্গে গাড়ির চালক ও আরোহীদের বচসাও হতে পারে। আক্রান্ত হতে পারে পুলিশও। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও পুজোর সময় সারা শহরজুড়েই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আরও কড়া ব্যবস্থা নেয়। পুজোর সময়ও যাতে গাড়ি বা বাইক চালকদের সঙ্গে যদি ট্রাফিক কর্মীদের বচসাও হয়, তবে আসল ঘটনা কী ঘটেছিল, তা জানতে প্রয়োজন সেই বডি ক্যামেরার।
[আরও পড়ুন: ভরবে না ব্রিগেড! আগাম বুঝেই পার্টির সব ফ্রন্টকে নামতে নির্দেশ রাজ্য সিপিএমের]
ভাঙড়ে যাতে ট্রাফিক পুলিশ ছাড়াও রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের কাছে বডি ক্যামেরা থাকে, লালবাজার এবার সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেই কারণেই পুলিশের পক্ষ থেকে নতুন করে ৭০০টি বডি ক্যামেরা কেনা হচ্ছে। তার জন্য লালবাজার খরচ করছে ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এখন যে বডি ক্যামেরা পুলিশের হাতে রয়েছে, এই বডি ক্যামেরাগুলি হবে আরও আধুনিক। অডিও ও ভিডিও দুই-ই রেকর্ড করা যাবে। একটি বোতাম টিপেই শুরু করা যাবে রেকর্ডিং। ক্যামেরা হবে ওয়াটারপ্রুফ। ফলে ঘামে বা বর্ষায় বডি ক্যামেরা খারাপ হবে না। ১২০ ডিগ্রি থেকে ১৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত কোণে ছবি ও ভিডিও তুলতে পারবে পুলিশের পোশাকের সঙ্গে আটকে থাকা এই ক্যামেরা। দিনের সঙ্গে সঙ্গে রাতের অন্ধকারেও অন্তত ৪০ ফুট দূরের ছবি স্পষ্ট তোলা যাবে এই ক্যামেরায়। ফলে রাতে যে জায়গায় আলো কম রয়েছে, সেখানেও স্পষ্ট তোলা যাবে ভিডিও। ভিডিওর সঙ্গে সঙ্গে স্টিল ছবিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই ক্যামেরায় উঠবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।