ঢাকার বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিখ্যাত কাচ্চি ভাই বিরিয়ানির দোকান-সহ একাধিক রেস্তরাঁ পুড়ে ছাই। এক বছর আগে বাংলাদেশে ঘুরতে গিয়ে এই হোটেলের বিরিয়ানির স্বাদেই মজেছিলেন বঙ্গকন্যা শাশ্বতী বোস। এখানেই ঢাকা সফর শেষ করেছিলেন তিনি। আর আজ সেই প্রিয় হোটেলই পুড়ে ছাই। সকালের খবরের কাগজে তা দেখে স্তম্ভিত শাশ্বতী। তার চেয়েও বেশি কষ্ট পেয়েছেন তিনি। নিজের ঢাকা সফরের অভিজ্ঞতা এবং আজকের বেদনার অনুভূতি, দুইই তিনি ভাগ করে নিলেন ‘সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন’-এ। শুনলেন অন্বেষা অধিকারী।
ঠিক একবছর আগে এই সময়েই বাংলাদেশ (Bangladesh) বেড়াতে গিয়েছিলাম। নানা জায়গা ঘুরে ফেরার সময় ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে যাই। সেটাই ছিল বাংলাদেশে আমাদের বেড়ানোর শেষ দিন। তো বেইলি রোডের চেহারা দেখে আমার মনে পড়ে গেল কলকাতার (Kolkata) ম্যাঙ্গো লেনের কথা। সেখানে আমার অফিস ছিল, দীর্ঘদিন চাকরি করেছি। ম্যাঙ্গো লেন অনেক সংকীর্ণ জায়গা। দুটো বাড়ির মধ্যে ন্যূনতম ফাঁকটুকুও নেই। আর ঢাকা এমনিতেই খুব ঘিঞ্জি এলাকা। ঢাকার প্রতি কোণে বাড়িগুলোর মাঝে একটুও ফাঁক (No gap) নেই। সেসব ছাড়াই একের পর এক বিল্ডিং উঠে গিয়েছে। কোনওটা আটতলা, কোনওটা নয়তলা বা আরও বেশি। কোনও নয়তলা বিল্ডিংয়ে ১০-১২টা দোকান ও রেস্তরাঁ (Resturants)। আর এগুলো সব ব্র্যান্ডেড জিনিসপত্রের দোকান। সে জামাকাপড়ই হোক বা খাবার।
[আরও পড়ুন: কীভাবে ইডির উপর হামলা? সিআইডি জেরায় শাহজাহানের উত্তর, ‘বারবার বলব না’]
আমি আর আমার বর বেইলি রোডের (Baili Road) ওই বিল্ডিংয়ে বসেই কাচ্চিভাইয়ের বিরিয়ানি খেয়েছি। গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি আমরা ওখানে ডিনার করেছিলাম। সকালে উঠে যখন দেখলাম, বিল্ডিংটা আর নেই, পুড়ে গিয়েছে, আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম। ভীষণ ঘিঞ্জি আর অফিস এলাকায় ওই বেইলি রোড। মানে আমাদের ধর্মতলার মতো অনেকটা। সব ওখানে পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা একটাই। কোনও ফাঁক না রেখে পর পর বিল্ডিং উঠে গিয়েছে। আমাদের এখানকার মতো নয়। জানি না, ওদেশের নিয়ম কী। তবে এধরনের এলাকায় একটা বাড়িতে আগুন লাগলে তা নেভাতে নেভাতে পরের বাড়িতে আগুন লেগে যায়। এখানেও তাই হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘কবে টাকা পাব জানান’, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে বঙ্গ সফররত মোদিকে খোঁচা তৃণমূলের]
আমার খুব কষ্ট লাগছে। ভয়ের চেয়েও বেশি কষ্ট হচ্ছে। আমার মতো তো অনেকেই ওইদিন ছিলেন। সেই বিল্ডিংটা এভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেল! হয়ত সেখানে শিশু ও মহিলারা ছিলেন। তাঁরা হয়ত ন্যূনতম সাহায্যও পায়নি। সেটাই খারাপ লাগছে।