সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে গিয়ে পায়ে চোট পাওয়ায় এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee)। তাঁর সেই মেডিক্যাল রিপোর্টই এবার ‘চুরি’ করার চেষ্টা করা হল! এমনই অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালেরই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার।
ঘটনা গত শুক্রবারের। জানা গিয়েছে, এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত মেডিক্যাল নথিপত্র খামবন্দি করে রেকর্ড রুমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ই হাসপাতালের দুই কর্মী মেডিক্যাল রিপোর্টগুলি খুলে তার ছবি তুলতে যান বলে অভিযোগ। কিন্তু বিষয়টি অন্যান্য সিনিয়র কর্মীদের নজরে পড়ে যায়। তাঁরাই রে রে করে তেড়ে আসেন। ওই কর্মীদের ছবি তুলতে বারণ করা হয়। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, কেন রিপোর্ট রুমে কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার সময় দুই কর্মী ছবি তোলার চেষ্টা করলেন? এর নেপথ্যে কি কোনও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি রয়েছে? কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোটকে ‘নাটক’ বলতে ছাড়েনি বিরোধীরা। মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী হুইলচেয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলেও কটাক্ষ করেছেন বিরোধী নেতারা। আর তাই এই ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে।
[আরও পড়ুন: কাঁধে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব, কী উপায়ে সামলাবেন কাজ? দুশ্চিন্তায় দৃষ্টিহীন শিক্ষক]
হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ওই দুই কর্মীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী আহত হয়ে এই হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। তাঁর ঠিক কোথায় চোট লেগেছিল। শারীরিক অবস্থার কতটা অবনতি ঘটেছিল। কৌতূহলবশত সেই সব জানতেই তাঁরা এমন কাজ করেছেন। আর কোনও কারণ নেই। তবে শুধু তাঁদের মুখের কথাতেই বিষয়টি ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। দুই কর্মীর বিরুদ্ধে অন্যরকম কোনও অভিসন্ধির প্রমাণ পাওয়া গেলে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেন তৃণমূল নেত্রী। সেদিনই সন্ধেয় গাড়ি করে ফেরার সময় চোট পান তিনি। তারপরই গ্রিন করিডর করে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে এনে ভরতি করা হয়। সিটি স্ক্যান-সহ অন্যান্য পরীক্ষা করা হয় তাঁর। সেই সমস্ত রিপোর্টই স্থানান্তরিত করা নিয়ে নতুন করে তৈরি হল জলঘোলা।