সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির বনধের সকালে কার্যত স্বাভাবিক শহর কলকাতা। এদিন সকাল ৬ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকে বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু সকালের দিকে শহর কলকাতায় সেভাবে বনধ সমর্থকদের দেখা মেলেনি। সকাল ৯ টা পর্যন্ত কার্যত পুরোপুরিই স্বাভাবিক ছিল যান চলাচল। রাস্তায় অন্যদিনের তুলনায় ব্যস্ততা কম থাকলেও কোনওরকম গণ্ডগোলের কোনও লক্ষণ সকালের দিকে দেখা যায়নি।
[বনধ বিরোধীদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ তৃণমূলের, শহরে মোতায়েন বাড়তি পুলিশ]
শহরের দুই প্রাণকেন্দ্র শ্যামবাজার এবং হাজরা। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার দুই অন্যতম ব্যস্ত জায়গায় এদিন সকাল থেকে অন্যদিনের তুলনায় ব্যস্ততা কম থাকলেও জনজীবন ছিল কার্যত স্বাভাবিক। কারণ, রাস্তায় সেভাবে বনধ সমর্থকদের দেখা মেলেনি সকালের দিকে। অফিস টাইমের ব্যস্ততা না থাকলেও যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। অন্যদিনের তুলনায় রাস্তায় সরকারি বাসের পরিমাণ বেশি ছিল। বেশি ছিল বেসরকারি ট্যাক্সি ও ক্যাবও। উত্তর কলকাতার চিত্রটাও একই। শ্যামবাজার মোড়েও এদিন সকালে স্বাভাবিক ছিল যান চলাচল। অতিরিক্ত সরকারি বাস চলাচলের ফলে সকালের দিকে সমস্যায় পড়তে হয়নি নিত্যযাত্রীদের। ধর্মতলা ডিপোতেও অন্যদিনের মতোই চোখে পড়ল বাস-মিনিবাসের ভিড়। হাওড়া-সাঁতরাগাছির মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতেও সেভাবে চোখে পড়েনি বনধ সমর্থকদের। সকালের দিকে বেসরকারি বাসের অভাব চোখে পড়লেও সকাল ৭ টা থেকেই মোটামুটি বেসরকারি বাসের পরিমাণ বাড়তে থাকে। বিমানবন্দরেও বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে, হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় বিচ্ছিন্নভাবে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
[বিজেপির বাংলা বনধের বিরোধিতায় বামেরা, সমর্থন নেই কংগ্রেসেরও]
গতকালই বনধে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেইমতো ব্যাবস্থাও করা হয়েছিল। এদিন সকাল থেকেই নবান্নে কন্ট্রোল রুমে বসেছিলেন তিনি। সকালেই তিনি জানিয়ে দেন, “গোটা রাজ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। অফিস যাত্রীদের কোনও সমস্যা হবে না। বনধ সমর্থকরা বিচ্ছিন্নভাবে মোট ৮টি বাস ভেঙেছে। এর মধ্যে ৬টা উত্তরবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার, ১টা দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার এবং ১ টি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগমের বাস। সার্বিকভাবে এখনই বলে দেওয়া যেতে পারে বনধ ব্যর্থ।”
The post বনধের সকালে কার্যত স্বাভাবিক কলকাতা, রাস্তায় অতিরিক্ত সরকারি বাস appeared first on Sangbad Pratidin.