স্টাফ রিপোর্টার: রাতদখলের পর এবার আর জি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মহালয়ার ভোরে পথে নামার ডাক দেওয়া হয়েছে। সমাজমাধ্যমে এরকমই একটি পোস্ট ঘুরছে। তবে এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। কে বা কারা মহালয়ার ভোরদখলের ডাক দিয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদে বুধবারও ফের রাতদখলে নেমেছিল জনগণ। এবারও রাতদখলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শহর।
এবার অবশ্য আর জি কর নয়। অশান্ত হয়ে ওঠে গড়িয়া এলাকা। পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে যাদবপুরে পুলিশের কাজে বাধাদানের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের ভিত্তিতে তিন থানায় অন্তত ছটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আর জি করের ঘটনায় বিচারের দাবিতে বুধবার রাতে গড়িয়া মোড়ে বড় জমায়েত হয়। শান্তিপূর্ণ চলা জমায়েতে হঠাৎ উত্তজেনা ছড়ায়। অভিযোগ রাজুকুমার নন্দী নামে এক মত্ত ব্যক্তি জমায়েতে ঢুকে মহিলাদের কটূক্তি করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ শুরু করে। নেতাজিনগর থানার ওসি তাঁর ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এর পর একদল লোকজন পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পুলিশকে হুমকি দেয়। ওসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ নেতাজিনগর থানায় একটি মামলা রুজু করেছে।
[আরও পড়ুন: মেট্রোর সুড়ঙ্গের শ্যাফটের নিচে ‘লিকেজ’! পুজোর মুখে নতুন করে বিপত্তি বউবাজারে]
অন্যদিকে, রাজকুমার নন্দীর নামে পাটুলি থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। পালটা রাজকুমার নন্দীও মারধরের অভিযোগ দায়ের করে। এছাড়া যাদবপুরে ৮বি বাস স্ট্যান্ডে একটি রেস্টুরেন্টের শেফের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণের অভিযোগ তোলেন এক মহিলা। অভিযুক্ত সেফকে ঘিরে ধরেন একাধিক লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের কাজে বাধা দেন শতাধিক লোকজন। এই ঘটনায় যাদবপুর থানায় পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে। পাশাপাশি অভিযোগকারিণী থানায় অভিযুক্ত শেফের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। পালটা অভিযুক্তও থানায় মহিলা ও অন্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন।