shono
Advertisement

করোনা যুদ্ধে হেরে মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই লড়াই শেষ কলকাতার তরুণ ডাক্তারের

ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম প্রয়াত চিকিৎসককে করোনা শহিদ সম্মান জানানোর দাবি রেখেছে। The post করোনা যুদ্ধে হেরে মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই লড়াই শেষ কলকাতার তরুণ ডাক্তারের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:59 PM Aug 04, 2020Updated: 09:59 PM Aug 04, 2020

অভিরূপ দাস: মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই শেষ হল লড়াই। মারণ ভাইরাসের কাছে হেরে গেলেন শহরের তরুণ কার্ডিয়াক সার্জন। এর আগেও অগুনতি চিকিৎসক করোনার বলি হলেও চল্লিশ না ছোঁয়া ডা. নীতীশ কুমারই সর্বকনিষ্ঠ। তাঁর মৃত্যুতে শোক বিহ্বল রাজ্যের চিকিৎসকরা। আরএন টেগোর হাসপাতাল (RN Tagore Hospital) তাঁদের চিকিৎসকের মৃত্যুতে জানিয়েছে, “আমাদের স্মৃতিতে অমর হয়ে থাকবে নীতীশ।” ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম প্রয়াত চিকিৎসককে করোনা শহিদ সম্মান জানানোর দাবি রেখেছে। লিখিত চিঠি পাঠিয়ে আবেদন জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে।

Advertisement

কোশি নদীর তীরের তরুণ চিকিৎসক কলকাতায় আসেন ৭ বছর আগে। কার্ডিয়াক সার্জারিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেছেন আরএন টেগোর হাসপাতালে। টানা ছ’বছরের পড়াশোনা শেষে সেখানেই কার্ডিয়াক সার্জন হিসেবে কাজ শুরু করেন। করোনা আবহে গত জুন মাসেই তিনি ডাক্তারি পড়াশোনার কোর্স শেষ করেছিলেন। এর পরে দিন সাতেকের জন্য বিহারে নিজের বাড়িতে যান। পরিবারের লোকেরা বলেছিলেন আপাতত থেকে যেতে। কিন্তু সায় দেয়নি মন। যে কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন এই অতিমারীর সময়ে তার থেকে দূরে সরে থাকা যায়? সাতদিনের মধ্যে কলকাতায় ফিরে কাজে যোগ দেন। হাসপাতালে প্রতিদিন আউটডোরে উপসর্গহীন রোগী আসছে। এমন রোগী দেখতে দেখতেই একদিন ধুম জ্বর। চিকিৎসক আঁচ করেছিলেন ভাইরাসের অনুপ্রবেশের। কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই ক্রমশ শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে কার্ডিও ভাসকুলার সায়েন্স বিভাগের চিকিৎসকের। কমতে থাকে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা।

[আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের ভুয়ো করোনা পরীক্ষা চক্রের রমরমা, গ্রেপ্তার যুবক]

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ পঁচিশ দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন প্রয়াত চিকিৎসক। সূত্রের খবর, চিকিৎসা শুরু হলেও নীতীশ খুব একটা সাড়া দিচ্ছিলেন না। গত কয়েক দিন ধরে দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। ভেন্টিলেশন সাপোর্টেও রাখা হয়েছিল দীর্ঘদিন। জুলাইয়ের শেষে আক্রান্ত চিকিৎসকের ফুসফুস অকেজো হয়ে গিয়েছিল। কৃত্রিমভাবে ফুসফুসকে কাজ করানোর জন্য এক্সট্রাকর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন বা ইকমো মেশিনের সাপোর্টও দেওয়া হয় তাঁকে। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এমন ব্যক্তির প্লাজমাও দেওয়া হয়েছিল নীতীশকে। দেওয়া হয়েছিল প্লেটলেট। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।

মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। করোনার জেরে শরীরের একাধিক অঙ্গ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল। মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাল্টি অর্গান ফেলিওরকেই শত্রু ঠাওরাচ্ছেন সহ-চিকিৎসকরা। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সবসময় হাসিমুখে থাকার জন্যই সুপরিচিত ছিলেন নীতীশ। অত্যন্ত পরিশ্রমী ছিলেন। অল্প দিনের মধ্যে দক্ষ কার্ডিয়াক সার্জেন হয়ে উঠছিলেন তিনি। নীতীশের স্ত্রী ও দু’বছরের ছেলে রয়েছে, তাঁদের প্রতিও সহানুভূতি জানিয়েছে হাসপাতাল।

[আরও পড়ুন: কলকাতায় উপসর্গহীন করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ, দাবি কলকাতা পুরসভার]

The post করোনা যুদ্ধে হেরে মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই লড়াই শেষ কলকাতার তরুণ ডাক্তারের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement