সুব্রত বিশ্বাস: দু’বার বিয়ে করেও সংসার করতে পারেনি। পরপর এই বিচ্ছেদে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন হাওড়া ডোমজুড়, বলুহাটির বাসিন্দা রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায় (৩৪)। শুক্রবার দুপুরে বঙ্কিম সেতু থেকে লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
মৃত যুবকের পকেট থেকে পাওয়া আধার কার্ডের নাম ঠিকানা দেখে বাড়িতে খবর দেয় হাওড়া রেল পুলিশ। মৃত্যুর সময় তাঁর পকেটে পাওয়া যায় শুক্রবারের একটি সংরক্ষিত হাওড়া (Howrah) থেকে গুয়াহাটির টিকিট। যা দেখে পুলিশের অনুমান, ট্রেন ধরতেই হাওড়া আসছিলেন তিনি। পথেই মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়ায় আত্মহত্যার জন্য ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেন। প্রতিবেশীদের থেকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, রাজেশের বাবা মারা গিয়েছেন আগেই। মায়ের সঙ্গেই থাকতেন। আগে একবার বিয়ে করেছিলেন। সে বিয়ে টেকেনি। স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আবার বিয়ে করেন। সেই দাম্পত্য জীবনও দীর্ঘায়িত হয়নি। দ্বিতীয় স্ত্রীও চলে যান বছর দুয়েক আগে।
[আরও পড়ুন: পার্থর সংগঠনে ভুয়ো তৃণমূল নেতা! ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি অভিষেককে]
এরপর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন তিনি। নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। মদ ও গাঁজাকে সঙ্গী করেই দিন কাটাতেন বলে প্রতিবেশীদের সূত্রে জেনেছে পুলিশ। লকডাউনে সহায় সম্বলহীনতার পাশাপাশি একাকীত্বের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। মানসিক যন্ত্রণা কাটাতে গুয়াহাটি যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে টিকিটও কাটেন। শুক্রবারই সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেইমতো বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এদিন দুপুরে ডোমজুড় থেকে বাসে হাওড়া আসেন। বাস থেকে নেমে সরাসরি স্টেশনে না গিয়ে বঙ্কিম সেতুতে এসে ওঠেন। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপর এসে ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেন। লাইনের উপর পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ট্রেন কম চলায় যাত্রী বিশেষ ছিল না। তবুও উপস্থিত যাঁরা ছিলেন তাদের চিৎকারে আরপিএফ ও রেল পুলিশ ছুটে আসেন। হাওড়া হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানিয়ে দেয়। তবে এমন ঘটনা প্রথম নয়, এর আগেও এমন ব্রিজ থেকে লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।