shono
Advertisement

সংক্রমণের চিকিৎসা দেরিতে হওয়ায় দৃষ্টিশক্তি হারালেন যুবক, কাঠগড়ায় কলকাতার হাসপাতাল

স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন রোগীর স্ত্রী।
Posted: 10:47 PM Dec 16, 2020Updated: 10:47 PM Dec 16, 2020

অভিরূপ দাস: চোখের সমস্যা নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) রাসবিহারীর বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সঞ্জয় ঘোষ। সেখানে তাঁর চোখে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এ ধরনের ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর চোখে সংক্রমণ দেখা দেয়। সঞ্জয়বাবুরও তা হয়েছিল। কিন্তু আসল গন্ডগোল অন্য জায়গায়। নিয়ম অনুযায়ী সেই সংক্রমণের চিকিৎসা হয়নি ওই হাসপাতালে। টানা ৭২ ঘণ্টা ওইভাবে থাকার পর দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন সঞ্জয়। এরপরই তাঁর স্ত্রী মুনমুন ঘোষ অভিযোগ জানান রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে।

Advertisement

লিখিত অভিযোগে বলেছেন, “সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে গিয়েছে আমার স্বামী। এর জন্য ওই বেসরকারি হাসপাতালই দায়ী।” আপাতত ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজিতে চিকিৎসা চলছে সঞ্জয়বাবুর। ঘটনার তদন্ত করতে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজির ডিরেক্টর ডা. অসীম ঘোষ রয়েছেন তদন্ত কমিটির মাথায়।

[আরও পড়ুন: প্রতিরোধে আশার কিরণ, কৃষক সমাবেশের বহর দেখে উৎফুল্ল বামনেতৃত্ব]

রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঠিক কোন পথে সঞ্জয়বাবুর চিকিৎসা হয়েছিল, আদৌ সেখানে ওই বেসরকারি হাসপাতালের গাফিলতি কতটা তার রিপোর্ট দেবেন ডা. অসীম ঘোষ। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে এই বছর যত অভিযোগ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে জমা পড়েছিল তার সবকটির প্রাথমিক শুনানি শেষ করতে কোমর বেঁধে নেমেছে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। বছর শেষ হতে আর দিন পনেরো বাকি।

২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বড়দিনের ছুটি। তবে তার আগে ১৮, ২১ ও ২৪ ডিসেম্বর শুনানি হবে কমিশনে। প্রয়োজনে বছর শেষ হওয়ার আগে আরও দু’দিন শুনানি করার কথা ভাবছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ বছর যতগুলি অভিযোগ জমা পড়েছিল বছর শেষ হওয়ার আগে প্রত্যেকটির প্রাথমিক শুনানি শেষ হবে। এই লক্ষ্যই রয়েছে স্বাস্থ্য কমিশনের।

[আরও পড়ুন: পদত্যাগ করেই কাঁকসায় বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুভেন্দুর, তুঙ্গে জল্পনা]

এদিকে, আগামী ২৩ ডিসেম্বর নন্দনে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। এতদিন সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল শুধুমাত্র রাজ্যের দরিদ্র মানুষদের জন্য। অভিযোগ, অনেক বেসরকারি হাসপাতালে এই কার্ডে রোগী ভরতি করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ে রোগীর পরিবার। কার্ড থাকলে ভরতি নিতে চায় না হাসপাতাল। সেই জটিলতা কাটানোর জন্যই বৈঠক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement