বিধান নস্কর, রাজারহাট: দুই গোষ্ঠীর বিবাদে মুহুর্মুহু গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে শুক্রবার তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়েছিল রাজারহাটের (Rajarhat) নারায়ণপুরে। দক্ষিণ নারায়ণপুরে আজাদ বাবা নামে এক ব্যক্তির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলেছিল। ওই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শোরগোল দেখা দেয়। সেই ঘটনার দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ। ওই ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত দুই ব্যক্তির নাম সাজিদ খান ওরফের ছোটু ও মহম্মদ তাজ। তবে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ আজাদ এখনও পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্যার সূত্রপাত দিন কয়েক আগেই। ইদের নিমন্ত্রণ নিয়ে অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছিল নারায়ণপুর এলাকায়। আজাদ বাবা নামে এক ব্যক্তি প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে ইদ উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বাসিন্দাদের দাবি, বিষয়টি মোটেই পছন্দ হয়নি রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের। গতকাল শুক্রবার দুপুরে অতর্কিত হামলা হয় আজাদ বাবার বাড়ি লক্ষ্য করে। মুহুর্মুহু গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, ওই বাড়িতে ঢুকেও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার পরে অন্যপক্ষও রাস্তায় নেমেছিল। দুই গোষ্ঠীর বিবাদে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ওই এলাকা। প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
সেই ঘটনার দ্রুত তদন্তে নামে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। গোটা এলাকায় চলে চিরুনি তল্লাশি। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করে দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার রাতেই মধ্যমগ্রাম এলাকা থেকে সাজিদ ও মহম্মদ তাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে। হামলায় মূল অভিযুক্ত শেখ আজাদও পলাতক বলে খবর। এদিকে আজ শনিবার সকালেও ওই এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। গুলিবৃষ্টির ঘটনার পর থেকেই বাসিন্দারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। প্রকাশ্যে কেউই কিছু বলছেন না। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।