shono
Advertisement
21 July TMC Shahid Diwas

একুশের মঞ্চে মমতার পাশে থাকার বার্তা অখিলেশের, বিজেপির সঙ্গে বার্তা কংগ্রেসকেও?

ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বড় শক্তি। তাঁরা একজোট হয়ে লড়াই করলে কংগ্রেসও যে 'দাদাগিরি' দেখাতে পারবে না, সেটা স্পষ্ট।
Published By: Subhajit MandalPosted: 02:19 PM Jul 21, 2024Updated: 02:55 PM Jul 21, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের সমাবেশে বক্তা তালিকায় অন্য দলের নেতা! খানিক চমকপ্রদভাবেই সভার একদিন আগে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের সঙ্গে তাঁর রসায়ন গোটা দেশের সামনে তুলে ধরা। রবিবারের মঞ্চে সেই রসায়ন স্পষ্ট ফুটে উঠল। বিরোধী শিবিরের দুই বড় শরিক দল যে আগামী দিনে হাত ধরাধরি করেই চলবে, একুশের মঞ্চ থেকে ভালো মতো বুঝিয়ে দিলেন অখিলেশ যাদব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ডাকে লখনউ থেকে একুশের সভায়(21 July TMC Shahid Diwas) আসার সিদ্ধান্ত নেন অখিলেশ। এদিন বিমানবন্দর থেকে সোজা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যান তিনি। সেখান থেকে সভাস্থলে যান দুজনে একসঙ্গে। ততক্ষণে অবশ্য সুর বেঁধে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন, "গোটা দেশে বিজেপির যে পরাজয় হয়েছে, সেটার কৃতিত্ব দুজনের। এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই অখিলেশ যাদব।"

[আরও পড়ুন: উত্তাল সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বেরিয়ে বিপত্তি! দিঘা মোহনায় ডুবল ট্রলার, ভাঙল ভুটভুটি]

ভাষণ দিতে উঠে মমতার লড়াইকে কুর্নিশ জানালেন অখিলেশ (Akhilesh Yadav)। সপা সুপ্রিমো বললেন, "এমন নেতা বড় কম পাওয়া যায়, যারা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেন। দিদি সেই লড়াই লড়েছেন। যারা দিদির সঙ্গে শুরুর দিকে লড়েছেন, আজও তাঁর সঙ্গে লড়ছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। আজকের লড়াই কঠিন। সাম্প্রদায়িক শক্তি ষড়যন্ত্র করছে। যারা দিল্লিতে বসে আছে তাঁরা বারাবার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু আপনারা দিদির পাশে থাকলে এই লড়াইয়ে জয় হবেই। যারা ইনসাফ এবং ইনসানের পাশে থাকে, জয় তাঁদেরই হয়।"

অখিলেশের বক্তব্য, "যারা কিছুদিনের জন্য মসনদ দখন করেছে, তারা আর কিছুদিনেরই অতিথি। যারা দিল্লিতে সরকার গড়েছে, তাঁদের সরকার ভেঙে পড়বে। আপনাদের-আমাদের জন্য খুশির খবর আসতে চলেছে। এদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। পজিটিভ রাজনীতির সময় আসছে। সবে মিলে দেশ ও সংবিধানকে বাঁচাতে লড়তে হবে। সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে। একজোট হতে হবে। আপনাদের নেতা অনেক বড় নেতা। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই দলকে এতদূর এনেছেন। আরও অনেক দূর যেতে হবে। এই লড়াইয়ে আপনাদের পাশে আছি।" পালটা অখিলেশকে ধন্যবাদ জানান মমতাও। তিনি বলে দেন, "উত্তরপ্রদেশে অখিলেশরা দারুন খেলা করেছেন। বিজেপির উচিত ছিল এই হারের পর পদত্যাগ করা। কিন্তু ওরা নির্লজ্জ।"

[আরও পড়ুন: অনন্যায় মন মজেছে হার্দিকের, সোশাল মিডিয়ায় বড় ইঙ্গিত! আম্বানিদের জলসাতেই শুরু নতুন ইনিংস?]

বস্তুত এদিনের সভায় মমতা এবং অভিষেকের সঙ্গে অখিলেশ যাদবের যে রসায়ন দেখা গেল, সেটা একই সঙ্গে বিজেপি এবং কংগ্রেস দুই দলের জন্যই বার্তা। ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের অন্দরে তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বড় শক্তি। তাঁরা একজোট হয়ে লড়াই করলে কংগ্রেসও যে 'দাদাগিরি' দেখাতে পারবে না, সেটা স্পষ্ট।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ডাকে লখনউ থেকে একুশের সভায় আসার সিদ্ধান্ত নেন অখিলেশ।
  • এদিন বিমানবন্দর থেকে সোজা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যান তিনি।
  • সেখান থেকে সভাস্থলে যান দুজনে একসঙ্গে।
Advertisement